সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট মাত্রায় কারচুপি হলে তবেই নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় এই কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছে তারা খুব বড় পরিসরে কাজ করে না। যদি বিরাট মাত্রায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে, তবে আগের পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত।
গত ৫ মে NEET-UG পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মানতে নারাজ তারা।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, লাইনচ্যুত ১০-১২টি কামরা]
কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতকে জানায়, স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে (NEET) অব্যবস্থার অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। পোশাকি ভাষায় বলতে গেলে ‘টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস’ হয়েছে, যার দায়িত্বে ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞরা। আর সেই বিশ্লেষণের ফল বলছে যে, নিট-২০২৪ পরীক্ষায় সর্বত্র বা বৃহৎ স্তরে বেনিয়ম হয়নি। কেন্দ্রের দাবি, নিট পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই। পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে লক্ষ লক্ষ সৎ পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়বেন।
এদিন শুনানিতে সেই একই সুর শোনা গেল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মুখে। তিনি বলেন, "এটা দেখা দরকার যে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কিনা। প্রশ্ন ফাঁসের জেরে গোটা পরীক্ষা ব্যাহত হয়েছে কিনা। ২৩ লক্ষ পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ১ লক্ষ পড়ুয়া ডাক্তারিতে ভর্তি হতে পারবে।" কিন্তু আবেদনকারীদের দাবি মেনে এখনও রিটেস্টের নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।