সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তেজনার আবহেই বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় চলছে পুরভোট (Tripura Civic Polls)। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠে আসছে বারবার। একদিকে যখন উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পুরভোট চলছে, তখন অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে এই সংক্রান্ত মামলা। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কড়া দেশের শীর্ষ আদালত। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য অতিরিক্ত ২ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (CAPF) বা কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে শীর্ষ আলাদতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম। তাদের অভিযোগ, পুরভোটের আগে থেকেই গেরুয়া শিবির বিরোধীদের উপর ‘হামলা’ চালাচ্ছে। শুধু সিপিএম নয়, তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে সে রাজ্যে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, স্বচ্ছ, স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ত্রিপুরায় অতিরিক্ত দুই কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠাতে হবে। শুধু তাই নয়, পুরনির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে আয়োজিত হয়, তার জন্য কেন্দ্র ও ত্রিপুরা সরকারকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, গ্রেপ্তার বায়ুসেনা কর্মীর মা, পলাতক ‘পাত্র’]
এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, ত্রিপুরার পুলিশ আধিকারিকদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে। সব বুথে CCTV নেই। তাই সাংবাদিকদের প্রতি বুথে ঢুকতে দিতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে ব্যালটের নিরাপত্তা।
আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত। এই ২০টি পুর অঞ্চলের মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২২টিতে আজ চলছে ভোটগ্রহণ। ১১২টি ওয়ার্ড বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। যেখানে যেখানে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, সেখানেও বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগরতলার প্রতি বুথে পাঁচজন সশস্ত্র জওয়ান থাকছেন। ২৮ নভেম্বর ভোটগণনা।