সোমনাথ রায়: সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণা মামলার বিচার নিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বক্তব্য ছিল, ‘জামিন হওয়া দস্তুর, জেল হওয়া ব্যতিক্রম।' আর তার পরই দীর্ঘদিন ধরে যেসব মামলা বিচারাধীন, অভিযুক্তরা জেলবন্দি, সেসব মামলায় জামিনের আবেদন জমা পড়েছে হু হু করে। সওয়াল-জবাবের পর কোনও কোনও বিচারাধীন বন্দির জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিকতম সংযোজন ছিলেন গরু পাচার মামলায় বন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে গত বৃহস্পতিবার জামিন দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর সোমবার একই মামলায় জামিন মিলল আরেক বন্দি ব্যবসায়ী এনামুল হকের।
জানা গিয়েছে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ এনামুলের জামিন মঞ্জুর করেন। দীর্ঘদিন জেলে থাকা সত্ত্বেও এখনও বিচার প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি এনামুল হকের - আইনজীবীর এই সওয়ালের ভিত্তিতেই জামিন পেলেন তিনি। যদিও ইডি জামিনের বিরোধিতা করেছিল, কিন্তু তা খারিজ করা হয়েছে। আগেই সিবিআইয়ের মামলায় এনামুলের জামিন হয়েছিল। এবার ইডির মামলাতেও জামিন হওয়ায় দ্রুত জেলমুক্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গরু পাচার মামলায় ব্যবসায়ী এনামুলকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তার আগে তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ৪৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সেসব সম্পত্তির ঠিকমতো হিসেব দিতে না পারায় গ্রেপ্তার হন তিনি। ইডির দাবি, এনামুল গরু পাচার মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত। ইডি এই মামলার তদন্তে চার্জশিট দায়েরের পরে আরও তিনটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে। এনামুল, বিনয় মিশ্র ও বিকাশ মিশ্র, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল-সহ মোট ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়, এনামুল-অনুব্রতদের ১৪টি সংস্থার নাম ছিল চার্জশিটে। একে একে ইডির মামলায় সতীশ কুমার, সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডল জামিন পান। এবার এনামুলেরও জামিন হল।