সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শিক্ষক দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা স্থানান্তরিত করা হতে পারে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে এমনই ইঙ্গিত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে শুনানি ছিল। সেখানে সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবীকে যাবতীয় রিপোর্ট-সহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ করতে সিবিআইকে তিন থেকে ছ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
চাকরিহারাদের তরফে আইনজীবী পাটওয়ালিয়া সওয়াল করেন, বক্তব্য না শুনেই সিঙ্গল বেঞ্চ বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলি আসলে আদেশের মতো। চার-পাঁচ বছর চাকরি করার পর বলা হল, তাঁরা আর চাকরি করতে পারবেন না। স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। এই সময় বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী বলেন, মূল নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে এক হোক বা দশ – যত বছরই চাকরি করে থাকুক, তা খারিজ হতেই পারে। তাঁর আরও বক্তব্য, এসএসসি-ই (SSC) হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। তাই তারা কয়েকজনের চাকরি রদ করেছে।
[আরও পড়ুন: নীতি কমিটির বৈঠকেই ‘অশালীন’ প্রশ্ন, ক্ষোভে ওয়াক আউট মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদদের]
তখন আইনজীবী কুণাল বলেন, ৯ তারিখ নোটিস দিয়ে পরদিন জবাব দিতে বলা হয়। তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া, সেই সময়ের আধিকারিকরা এখন জেলে। বর্তমানে যাঁরা আছেন, সবাই নতুন। অতটা জানেন না। এতে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ফের বলেন, ”তাহলে এটা তো ঠিক, কিছু দুর্নীতি হয়েছেই?” তাতে পাটওয়ালিয়ার বক্তব্য, দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার দায় সবাই ভোগ করতে পারে না।
[আরও পড়ুন: রোগীকে নার্সিংহোমে পাঠালে ব্যবস্থা, সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে নির্দেশ রাজ্যের]
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট যে অন্তর্বর্তী রায়গুলি দিয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়া হোক। ১ মার্চ হাই কোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তেমনই থাক। মেধাবী, যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ শুরু হোক।