সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিটে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে কেন গ্রেস মার্কস বা বাড়তি নম্বর দেওয়া হল, জানতে চেয়ে পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে এনটিএ-কে (NTA)।
মূল মামলাটি করেছিল একটি লার্নিং অ্যাপ। তাদের দাবি, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার জেরে পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকায় প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। পরীক্ষার যে ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছিল, তা অনেক পরীক্ষার্থীই পাননি। কেউ কেউ ত্রুটিপূর্ণ ওএমআর পেয়েছেন। এ বিষয়েও সুপ্রিম কোর্ট (Supeme Court) এনটিএর কাছে জবাব চেয়েছে।
[আরও পড়ুন: NEET প্রশ্নফাঁস দুর্নীতি মানলেন রাষ্ট্রপতি, দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা]
এ বছর নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। এর পর থেকে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পাশাপাশি অনেককে গ্রেস মার্কস দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নেয় এনটিএ। সরকার জানায়, ওই ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী চাইলে তাঁদের ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। পরে গত ২৩ জুন ওই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য মাত্র ৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
[আরও পড়ুন: অলস ভারত! প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেকই ‘আনফিট’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
এখন প্রশ্ন উঠছে, ওই গ্রেস মার্কস কোন যুক্তিতে দেওয়া হল। কিছু পড়ুয়াকে এভাবে গ্রেস মার্কস দেওয়া হলে পরীক্ষার স্বচ্ছতা আদৌ বজায় থাকবে তো? সেই প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতেই এনটিএকে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। এদিকে নিট-ইউজি (NEET-UG) প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে বিহারে (Bihar) দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআইয় (CBI)। পাটনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মণীশ প্রকাশ এবং আশুতোষ নামের দুই ব্যক্তিকে। দুজনের বিরুদ্ধেই নিট পীরক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষার আগের দিন বেশ কিছু যুবকের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়েছিল মণীশ এবং আশুতোষ। এই মামলায় তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই।