সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২মে লঞ্চ হয়েছে LIC‘র আইপিও (IPO)। যার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থার শেয়ার কেনা যাবে। কিন্তু এভাবে অর্থ বিল এনে এমন পদক্ষেপ করা যায় না, এই মর্মে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিতে রাজি নয় আদালত।
এর আগে মাদ্রাজ ও বম্বে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারীরা। কিন্তু সেখানেও অনুকূলে রায় না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু শীর্ষ আদালতও কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল বৃহস্পতিবার। তবে এই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিস জারি করেছে বেঞ্চ। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র বা এলআইসিকে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ, TMC কাউন্সিলরের ছেলেকে আটক করল NIA]
আবেদনকারীদের দাবি ছিল, কর্পোরেশনের মূলধনকে ‘ইকুইটি ক্যাপিটাল’ হিসেবে ধরা অসাংবিধানিক ও নিয়মবিরুদ্ধ। এছাড়াও আর্থিক নীতির যে ধারাগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে তাও সংবিধান মেনে হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এদিন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্য কান্ত ও পিএস নরসিংহের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ”আমরা কোনও ভাবেই অন্তর্বতী স্বস্তি দিতে চাই না।”
গত ২ মে আইপিও চালু হওয়ার পরে প্রথম দু’দিন শুধু বড় মাপের বিনিয়োগকারী বা অ্যাঙ্কর ইনভেস্টররাই দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থার শেয়ার কেনার সুযোগ পেয়েছেন। এরপর তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আওতায় আসে ৪ মে। চালু ছিল ৯ মে পর্যন্ত। সব মিলিয়ে ৭৩ লক্ষ আবেদনকারী আইপিওর জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল, এলআইসির পাঁচ শতাংশ তথা ৩১৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হবে। এরপর সেবির কাছে এই সংক্রান্ত নথিও জমা করা হয়েছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। যুদ্ধের আবহে শেয়ার বাজারে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় তখনকার মতো আইপিও লঞ্চ করার পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তারও আগে ২০২১-এর ডিসেম্বরে সংস্থার ওয়েবসাইটে আইপিও সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এলআইসি। যেখানে বলা হয়, আলাদা করে পলিসি হোল্ডারদের জন্য আইপিও রাখা হবে।