সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় মিছিল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। একাধিকবার এহেন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভারত। তাই অশান্তি এড়াতে ধর্মীয় মিছিল বন্ধ করে দেওয়া হোক, এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত ধর্মীয় মিছিল থেকেই দাঙ্গা ছড়ায় না। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আইনের সমস্ত বিষয়ে আদালতকে টেনে আনা ঠিক নয়।
এনজিওর তরফে বলা হয়েছে, ধর্মীয় মিছিলে প্রকাশ্যেই অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। সেখান থেকে হিংসা ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে এই মিছিল আয়োজনের অনুমতি দেয়, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে শীর্ষ আদালতের উচিত, সমস্ত ধর্মীয় মিছিল বন্ধ করে দেওয়া। তবে এই আবেদনে একেবারেই সাড়া দেয়নি দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁদের মতে, প্রার্থনা করার অধিকারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
[আরও পড়ুন: টাকা উড়িয়ে, ঢোল বাজিয়ে গুজরাট নির্বাচনে স্ত্রীর জয় সেলিব্রেট করলেন জাদেজা, ভিডিও ভাইরাল]
আবেদনকারীর সওয়ালের পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা সবসময় ধরেই নিই, ধর্মীয় মিছিল মানেই সেখান থেকে দাঙ্গা ছড়াবে। এরকম কেন ভাবি আমরা? আমাদের দেশে ভাল উদাহরণও তো রয়েছে। মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোর সময়েও তো লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হন। সেখানে তো দাঙ্গা বাধে না।” তাঁর মতে, দেশের নানা প্রান্তের সংস্কৃতি আলাদা। তাই সকলের মিছিলকে এক গোত্রে ফেলা যায় না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ধর্মীয় মিছিল থেকে হিংসা ছড়ায় দিল্লিতে। জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) এলাকার একটি মসজিদের সামনে দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে। একটি গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন।