সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। আবগারি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপ মামলায় জামিনের শর্তে ছাড় দিতে সিসোদিয়ার আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। এর ফলে সপ্তাহে দুবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে না মণীশ সিসোদিয়াকে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আদালতের এই নির্দেশ আপ নেতার কাছে বড় স্বস্তির বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে গত সোমবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি। যেখানে জঙ্গপুরা আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়াকে। মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ আপের দাপুটে নেতাদের জেলবন্দী ও জামিনে মুক্তির পর এই নির্বাচন কেজরির কাছে 'ডু অর ডাই' ম্যাচ। জোর কদমে নির্বাচনী প্রচারে চালাতে কোমর বেঁধেছে আপ নেতৃত্ব। তার আগে আদালতের তরফে জামিনের শর্তে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়ে প্রচারে আরও বেশি করে মনযোগ দিতে পারবেন আপের এই বরিষ্ঠ নেতা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার আদালতের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর এক্স হ্যান্ডেলে শীর্ষ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিসোদিয়া। তিনি লেখেন, সম্মানীয় শীর্ষ আদালতকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমার জামিনের শর্তে আজ আদালতের তরফে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা শুধু বিচারপতিদের প্রতি আমার আস্থা দৃঢ় করার পাশাপাশি আমাদের দেশের সাংবিধানের মূল্যবোধকে আরও স্পষ্ট করল। দেশের সংবিধান ও বিচারপতিদের প্রতি আমার বিশ্বাস অটুট থাকবে।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতিতে ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিসোদিয়া। তার পরে একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে আদালত। আবগারি মামলায় সিবিআইয়ের পরে ইডির হাতেও গ্রেপ্তার হন তিনি। প্রায় দেড় বছর জেলবন্দী থাকার পর ৯ আগস্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। এ প্রসঙ্গে আদালতের যুক্তি ছিল, দিনের পর দিন সিসোদিয়াকে জেলে আটকে রাখাটা তাঁর নৈতিক অধিকারের বিরোধী। পাশাপাশি জামিন পেলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির দপ্তরে সপ্তাহে দুদিন হাজিরার শর্ত দেওয়া হয় তাঁকে। সেই শর্ত এবার শিথিল করল আদালত।