সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রে প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকা উচিত জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের হাতেই। উপরাজ্যপাল বনাম দিল্লি সরকার মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চ। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জন্য শীর্ষ আদালতের এই রায়কে বিরাট জয় হিসাবে দেখা হচ্ছে।
সেই ২০১৮ সাল থেকে উপরাজ্যপালের ক্ষমতা এবং দিল্লি (Delhi) সরকারের সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের। সেই মামলায় ৫ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, উপরাজ্যপাল নয়, আসল প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকা উচিত নির্বাচিত সরকার এবং মন্ত্রিসভার হাতেই।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ভাইপোর বিয়ের আসরে নাচতে নাচতে মৃত্যু ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টের ম্যানেজারের]
শীর্ষ আদালত বলছে, “বিধানসভাকে ক্ষমতা দেওয়াই হয় সাধারণ মানুষের দাবি পূরণের জন্য, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। আর সেই নির্বাচিত সরকারকেই যদি আধিকারিকরা কাজের খতিয়ান না দেয়, বা আধিকারিকদের উপর যদি সরকারেরই নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে দায়বদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, কেন্দ্র কোনওভাবেই দিল্লির শাসন ব্যবস্থা দখল করতে পারে না। দিল্লি সরকার দিল্লিবাসীর দ্বারা নির্বাচিত। এবং প্রশাসনে তাদের আরও ক্ষমতা থাকা উচিত।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে বিজেপি হারলে এগোতে পারে লোকসভা ভোট! কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলেরও সম্ভাবনা]
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, দিল্লিতে উপরাজ্যপাল নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন না। অন্তত প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মানতে তিনি বাধ্য। এক্ষেত্রে দিল্লি সরকারকে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপরাজ্যপালকে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া-সব বিষয়েই দিল্লির নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেকটা বাড়বে। দিল্লি প্রশাসনের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে। আধিকারিকদের বদলি বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন তিনি।