সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) আপত্তিকর পোস্টগুলিও ‘বাকস্বাধীনতার’ অধিকারের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। সে দিক থেকে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, মৌলিক অধিকার শুধুমাত্র সেই সব নাগরিকের জন্য ঢাল হতে পারে, যাঁরা আইন মেনে চলেন এবং আইনি প্রক্রিয়াকে সম্মান করেন।
বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং অনিরুদ্ধ বসুর একটি বেঞ্চ গত সপ্তাহে রায় দিয়েছিল যে মৌলিক অধিকারের প্রতি যে কোনও দাবি ন্যায্যভাবে করা যাবে না যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে আইনের প্রক্রিয়ার প্রতি অনুগত না হন। যদিও এই রায়টি এমন একটি মামলায় এসেছিল যেখানে একজন অভিযুক্ত, যিনি মহারাষ্ট্র সরকারের অপরাধ-বিরোধী আইন এমকোকা-র প্রয়োজনীয়তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, কিন্তু আদালতের রায়ের সাধারণ প্রকৃতি, মামলাগুলির পুরো অংশের উপর প্রভাব ফেলেছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বৈদ্যুতিক বাস পরিষেবার উদ্বোধন, স্টিয়ারিং হাতে চালকের আসনে ফিরহাদ]
অভিযুক্ত তার বিরুদ্ধে কঠোর অপরাধ-বিরোধী আইনের আহ্বানকে চ্যালেঞ্জ করেছিল এবং আবেদন করেছিল যে এটি তার মৌলিক অধিকারের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। রায় লেখার সময়, বিচারপতি মহেশ্বরী বলেছেন, “যে কোনও ব্যক্তি, যাকে ‘পলাতক’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে, তদন্তকারী সংস্থার এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় আইনের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে দাঁড়িয়েছে, সে সাধারণত কোনও ছাড় বা প্রশ্রয় পাওয়ার যোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, ”সুতরাং, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা এবং তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে বাতিল করতেই হবে, যেখানে অভিযুক্ত নিজেকে পলাতক ঘোষণা করেছেন।” সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের তরফে আনা যুক্তি ভিত্তিহীন এবং তার ভিত্তিতে এই চ্যালেঞ্জও অর্থহীন হয়ে যায়।