সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও পথকুকুর (Stray dog) কাউকে কামড়ালে, তাকে নিয়মিত যাঁরা খেতে দেন তাঁরাই দায়ী হবেন। শুক্রবার এমনটাই প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত আরও জানাল, ওই পথকুকুরদের টিকাকরণের দায়িত্বও তাঁদেরই নিতে হবে যাঁরা নিয়মিত তাঁদের খেতে দেন ও দেখভাল করেন।
কেরল ও মহারাষ্ট্র-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাগল হয়ে যাওয়া কুকুরদের মেরে ফেলার নির্দেশ দেয় স্থানীয় পুরসভা। এই নির্দেশ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে শুক্রবার এই প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, জন নিরাপত্তা ও পশু অধিকারের মধ্যে একটা সমতা বজায় রেখেই চলতে হবে। সঞ্জীব খান্না ও জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন এদিনের শুনানিতে এই বিষয়টিতেই জোর দিয়েছে।
[আরও পড়ুন:‘আগে খেতাম, এখন নিরামিষাশী’, গোমাংস খাওয়া নিয়ে স্বীকারোক্তি বিবেক অগ্নিহোত্রীর]
বিচারপতি খান্নার কথায়, ”আমরা অধিকাংশই কুকুরপ্রেমী। আমিও কুকুরদের খেতে দিই। একটা কথা আমার মনে এল। কুকুরদের দেখভাল যাঁরা করতে চান তাঁরা করুন। কিন্তু তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। তা বলে আমি চিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করার কথা বলছি না। ওই পদ্ধতিতে আমার সায় নেই।” আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে আবার শুনানি রয়েছে। সেদিন এই প্রস্তাবের উত্তরের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।
ভারতে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা আখছাড় ঘটে। ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সেই বছরে দেড় কোটি মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছিলেন। এবিষয়ে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ। এরই পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপে একজনও কুকুরের কামড়ে আহত হননি বলে জানা যাচ্ছে। ২০২২ সালে প্রথম সাত মাসের হিসেব বলছে দেশজুড়ে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন।