সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ টুগেদার বা সমকামী সম্পর্কগুলিকেও এবার পরিবারের সম্মান দিতে হবে, এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুধুমাত্র বিবাহিত নারী-পুরুষ এবং তাঁদের সন্তান থাকলেই পরিবার সংগঠিত হয়, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার বলে মত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু নানা কারণে পরিবার গঠনের এই সংজ্ঞা পরিপূর্ণ হয় না, সেই কারণেই এহেন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। অন্য ধরনের পরিবারকে আইনি স্বীকৃতি দিতেও দাবি করেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এ এস বোপান্না।
রবিবার একটি মামলার রায় দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সেখানে বলা হয়েছে, নানা কারণেই একটি পরিবারের অবস্থান বদল হতে পারে। কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে বা পুনর্বিবাহ করলে গোটা পরিবারের সমীকরণ পালটে যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই বলা হচ্ছে, সকল প্রকারের সম্পর্ককেই পরিবারের স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ যদি বিয়ে না করে একসঙ্গে (Unmarried Partner) থাকেন, তাহলে তাঁদেরও পরিবার হিসাবে গণ্য করতে হবে। সমকামীরাও যদি লিভ ইন করেন তাহলেও তাঁরা পরিবার হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক কোভিড গ্রাফে বড়সড় পতন, একদিনে আক্রান্ত ৭৫০০’র সামান্য বেশি]
একজন নার্সের মামলার রায় দিতে গিয়েই এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। ওই নার্স মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ছুটির আবেদন নাকচ করে দেয় কর্তৃপক্ষ কারণ হিসাবে বলা হয়, আগেও স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তানের দেখভাল করার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই নিজের সন্তান নেওয়ার জন্য ছুটি পাবেন না ওই নার্স। জানা গিয়েছে, ওই নার্সের স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই ওই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন। তাঁর সন্তানকে দেখভাল করার জন্যই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন আবেদনকারী নার্স।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিলেও তাঁদের বিয়েকে আইনি মান্যতা দেয়নি শীর্ষ আদালত। তাছাড়াও লিভ ইন সম্পর্কে থাকলে সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার থাকে না। এই দু’টি বিষয়ে অধিকার পাওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের রায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, হয়তো চিরাচরিত পরিবার প্রথার চেয়ে এই ধরনের পরিবারগুলি অনেকটাই আলাদা। কিন্তু এই ধরনের পরিবারেও একই রকম ভাবে ভালবাসার সম্পর্ক থাকে। সেই কারণেই এহেন পরিবারগুলির একইরকম আইনি সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিৎ।
[আরও পড়ুন:মাথাব্যথা মূল্যবৃদ্ধি, লাগাম টানতে আটা, ময়দা ও সুজি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের]