সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাছাড়াও আদালতে মামলা চললে সমস্যা আরও বাড়বে। মণিপুরের (Manipur) হিংসা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলাকালীন এই কথাই বলেছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। গত দু’মাস ধরে জাতি সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত মণিপুর। সেখানে অশান্তি রুখতে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করে কুকি সম্প্রদায়।
সোমবার মণিপুরের একাধিক মামলা একত্রিত করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মণিপুর সরকারের কাছে পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। তারপরেই মণিপুরের একাধিক মামলা শুনতে রাজি হয় সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুর সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, হিংসা থামাতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে মণিপুর সরকার।
[আরও পড়ুন: মারিওপোলের ‘সিংহশাবক’দের উদ্ধার জেলেনস্কির, তুরস্কের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’য় ক্ষুব্ধ রাশিয়া]
তবে এই মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হন কুকিদের পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী কলিন গনসালভেস। তিনি বলেন, হিংসা রুখতে একেবারে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। তাই সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভার নিতে হবে শীর্ষ আদালতকে। তবে এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন প্রধান বিচারপতি।
চন্দ্রচূড় সাফ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অনেক ক্ষমতা। কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই আমাদের। নির্বাচিত রাজ্য সরকারই সমস্ত দায়িত্ব নেবে। বরং আদালতের কার্যকলাপের প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের উপর। আমরা কখনই চাই না, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জেরে মণিপুরের হিংসা আরও বেড়ে যাক। তাই অনুরোধ করব, মণিপুর হিংসায় মদত দিতে সুপ্রিম কোর্টের কার্যাবলিকে ব্যবহার করবেন না।” মঙ্গলবার আবারও মণিপুর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, দু’মাস ব্যাপী হিংসায় মণিপুরে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।