সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিবেক জাগ্রত হোক। চেতনাকে ঝাঁকুনি দেওয়া দরকার। মুসলিম পড়ুয়াকে হেনস্তার ঘটনায় এভাবেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের মতে, শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে যদি পড়ুয়াকে হেনস্তার শিকার হতে হয় তাহলে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া কখনই সম্ভব নয়। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শীর্ষ আইপিএস আধিকারিকের নজরদারিতে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। তিনিই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করবেন শীর্ষ আদালতে।
গত ২৬ আগস্ট প্রকাশ্যে আসে উত্তরপ্রদেশের এই বিতর্কিত ঘটনার খবর। জানা গিয়েছে, নামতা বলতে পারেনি এক মুসলিম পড়ুয়া। ক্লাসের শিক্ষিকা নির্দেশ দেন, সহপাঠীরাই ওই পড়ুয়াকে মারধর করবে। শিক্ষিকা আরও বলেন, মুসলিম মহিলারা আসলে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখেন না। সেই জন্যই মুসলিম পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান এত খারাপ। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা তো পরিবার’, এশিয়াডে অরুণাচলের খেলোয়াড়দের ভিসা না দেওয়ায় সাফাই চিনের]
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের নিন্দায় সরব হন দেশের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সহপাঠীদের হাতে নিগৃহীত ওই পড়ুয়াকেও সাংঘাতিক মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তার বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ”ও খুব মনমরা হয়েছিল। বলছিল রাতে ঘুমোতে পারছে না। তাই ওকে মীরাটে চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ডাক্তার জানিয়েছেন, ও ঠিক আছে। আসলে যেভাবে রিপোর্টার-সহ অনেকেই ওকে নেহা পাবলিক স্কুলের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করছিল তাতে ওর সমস্যা হচ্ছিল।”
সেই ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সোমবার শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, যেভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তারপর রাজ্যের চেতনাকেই ঝাঁকুনি দেওয়া উচিত। যে স্কুলে ধর্মের কারণে পড়ুয়াকে হেনস্তা করা হয় সেখানে শিক্ষা দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি নিগৃহীত পড়ুয়াকে যথাযথ কাউন্সেলিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।