নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অগণিত মামলা। ২০১৪ সাল থেকে নানা বছরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তার কিনারায় দশেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই সমস্ত মামলাই কলকাতা হাই কোর্টে ফেরত পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি তদন্ত শেষ, মামলার নিষ্পত্তি করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনও চাকরি বাতিল হবে না, বৃহস্পতিবারের নির্দেশে এমনই জানিয়েছে বিচারপতির বেঞ্চ।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ –
- ২ মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে।
- তার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতির অধীনে স্পেশাল বেঞ্চ তৈরি হবে।
- ৬ মাসের মধ্যে মামলাগুলির নিষ্পত্তি করতে হবে।
- নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে কারও চাকরি বাতিল করা যাবে না।
জানা গিয়েছে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মোট ১২টি মামলা দায়ের হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে মামলাগুলি আলাদা করে শুনানির কথা বলে। কিন্তু পরে মামলাগুলির শুনানি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিল। বিরক্ত বিচারপতিরাই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কোনটা আগে শোনা হবে? গত দিনের শুনানিতে চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আবেদন করেছিলেন, যাতে শুনানি আর না পিছনো হয়। সেইমতো বৃহস্পতিবার শুনানির দিন স্থির হয়।
[আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিমানহানায় মৃত ৯, এবার সম্মুখ সমরে ইরান-আমেরিকা?]
এদিন দুই বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, সমস্ত মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে। তার জন্য প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে স্পেশাল বেঞ্চ গঠন করে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে এবং ৬ মাসের মধ্যে মামলাগুলির নিষ্পত্তি করতে হবে। বিচারপতিদের আরও নির্দেশ, যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হয়, ততদিন নতুন করে কারও চাকরি বাতিল হবে না। তবে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এতদিন সুপ্রিম কোর্ট যেসব রায় দিয়েছে, তার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।