সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি দেয়নি শীর্ষ আদালত। কিন্তু বিবাহে স্বীকৃতি না দিলেও সমলিঙ্গ যুগলদের সামাজিক সুরক্ষায় জোর দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এমন কিছু কিছু নির্দেশ দিয়েছে, তাতে সমলিঙ্গের যুবকদের অহেতুক হেনস্তা থেকে রুখে দেওয়া যায়।
সমকামী কিংবা এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) সম্প্রদায়ের যে কোনও মানুষকেই হেনস্থা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছে, শুধু মাত্র যৌন পরিচয়ের জন্য যাতে এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কোনওরকম বিভেদমূলক আচরণ যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে। শুধু কেন্দ্রকে নয়, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনওভাবেই যাতে সমকামী যুগলদের হেনস্তা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি নয় এখনই, সরকারের উপর সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট]
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, এই সম্প্রদায়ের কাউকে তাঁদের শুধু যৌন পরিচয় জানার জন্য থানায় তলব করা যাবে না। তাঁরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাঁদের সেখানে জোর করে ফেরানো যাবে না। এই সম্প্রদায়ের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করার আগে পুলিশকে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই সম্প্রদায়ের যুগলকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা যেন না তৈরি হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারও লিঙ্গ পরিবর্তন যেন নির্দিষ্ট বয়সসীমার বাইরে বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। যদিও কোনও সমকামী ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে তাঁদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের সাবান তৈরির কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৪]
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্পর্ককে স্বীকৃতি না দেওয়ার অর্থ এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়কে অসম্মান করা। কেন্দ্রের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘সমকাম শহুরে না নাগরিক জীবনে সীমাবদ্ধ কোনও বিষয় নয়। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা।’’