সংবাদ প্রতিদিন, ডিজিটাল ডেস্ক: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত ঝুঁকির ছিল। নজর রাখতে হয়েছিল, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গিয়ে সেনারা যেন বলি না হন। বছরের প্রথম দিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অকপটে একথা জানালেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী সেনাদের এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল, মিশন সফল হোক বা ব্যর্থ, সেনাদের নিরাপদে ফিরে আসা চাই। প্রধামন্ত্রী বললেন, ‘জানতাম, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত ঝুঁকির। রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভাবিনি। কিন্তু সেনাদের নিরাপত্তা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল আমার কাছে। তাঁরা সবসময়েই আমাদের জন্য নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতে প্রস্তত। তাই ওইদিন সারারাত বসে অপারেশনের খুঁটিনাটি নজরে রেখেছিলাম। কিন্তু ভোরের দিকে একঘণ্টার জন্য তথ্য বিনিময় বন্ধ থাকায় চিন্তা বাড়ছিল।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য বাছাই করা সেনাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ হয়। প্রয়োজনীয় সব সামরিক জিনিসও দেওয়া হয়েছিল। তা সত্বেও উদ্বেগ কমেনি। আর তারপরই তাঁর অভিযোগ, এনিয়ে বিরোধীরা লাগাতার রাজনীতি করেছে।
[এখনই রাম মন্দির নয়, জল্পনা উড়িয়ে জানালেন প্রধানমন্ত্রী]
২০১৬-র সেপ্টেম্বরে জম্মু-কাশ্মীরের উরির সেনাছাউনিতে পাক সেনাদের হামলায় ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার বিনিময়ে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। যদিও ২৯ সেপ্টেম্বর, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতের এই অপারেশন এবং জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ঘটনার পর বিরোধী রাজনৈতিক মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়েও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে একবার বলেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশের সেনাবাহিনীর অপমান’।
আর ২০১৯-এর প্রথম দিন তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘যাঁরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে সংশয়ের চোখে দেখছেন, তাঁরা ভুল। দেশে এমন রাজনীতিবিদ না থাকাই মঙ্গলের।’ তবে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘পাকিস্তান এত দ্রুত শুধরে যাবে, তা ভাবা ভুল। শোধরাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ২০১৯-এ বিজেপির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হাতিয়ারকে আরও ধারালো করল প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য।
The post সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে সেনাদের কী নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদি? দেখুন ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.