নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এখনও ফাঁকা অনুব্রত গড়। গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলবন্দি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। বীরভূম থেকে দূরে রয়েছেন ঠিকই। তবে প্রিয় 'দাদা'কে ভোলেননি কেউ। বীরভূমের সিউড়িতে অনুব্রতর বিরাট কাটআউটে আবির দিয়ে দোলের শুভেচ্ছা জানালেন অনুগামীরা।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল বছরখানেক জেলবন্দি। গ্রেপ্তারির পরেও তাঁর পাশেই রয়েছে দল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে এখনও আসীন অনুব্রত। তাই সিউড়ি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে আজও রয়েছে তাঁর বিশাল কাটআউট। সোমবার সকালে ওই কাটআউটের সামনে ভিড় জমান সিউড়ি শহর মহিলা তৃণমূলের কর্মীরা। অনুব্রতর পায়ে আবির দেন। কেউ আবির দেন গালে। তার পরই একে অপরকে দোলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
[আরও পড়ুন: দোলে রঙিন সৌমিত্র, বাইকে সঙ্গী নববিবাহিত স্ত্রী, পরনে হলুদ-লাল রংমিলান্তি পোশাক]
কখনও 'গুড়-বাতাসা', তো কখনও 'চড়াম চড়াম'। বিরোধীদের উদ্দেশে চোখা চোখা আক্রমণই যেন ছিল অনুব্রত মণ্ডলের ইউএসপি। দক্ষ সংগঠক অনুব্রতর অনুগামীর সংখ্যা বিপুল। সেই অনুব্রতই গরু পাচার মামলায় বছরখানেকেরও বেশি সময় জেলবন্দি। পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়র কপালে শাস্তির খাঁড়া ঝুলেছে। তবে গ্রেপ্তারির পরেও অনুব্রতর পাশেই রয়েছে দল। বহুবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে তাঁর প্রিয় 'কেষ্ট'র নাম। আবার দলের ছোট, বড় নেতাদের মুখেও শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। সম্প্রতি ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়ের মুখেও অনুব্রতর নাম শোনা গিয়েছে। তাঁকে 'মিস করবেন' বলেও দাবি করেন শতাব্দী। তারই মাঝে আবির মাখিয়ে দোলের শুভেচ্ছা জানানোর ঘটনাই প্রমাণ করে আজও তাঁর জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাঁটা পড়েনি।