সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি কেনাকাটি করতে ভালবাসেন? হাজারও ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পান অনলাইন শপিং সাইটে নজর রাখেন? মাসের শুরুতে পোশাক, গয়নাগাটি, জুতো ব্যাগ যখন যা ইচ্ছা হচ্ছে অর্ডার দিচ্ছেন? আবার কখনও হাতে টাকাপয়সা না থাকলে কার্ট অর্ডার করে রেখে দিচ্ছেন নানা জিনিসপত্র? প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। কারণ সমীক্ষা বলছে অতিরিক্ত অনলাইন শপিং সাইটে নজর রাখেন মানসিক রোগীরাই।
অনলাইনে পোশাক, ব্যাগ, গয়নাগাটি কিনতে পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এমন ১২২ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই ১২২ জনের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে তাঁরা শপিং সাইটগুলিতে ঢুঁ মারেন। কখনও কেনেন আবার কখনও বা কার্ট অর্ডার করে রাখেন পছন্দসই জিনিসপত্রগুলি। হাতে টাকা আসামাত্রই ওই জিনিসপত্রগুলি কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন তাঁরা। যাঁরা ঘনঘন অনলাইন শপিং সাইট থেকে কেনাকাটি করেন বিশেষজ্ঞদের ভাষায় তাঁরা বিএসডি বা বাইং শপিং ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। কিন্তু এত কেনাকাটির কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিড়ের মাঝেও যাঁরা এক্কেবারে একলা বোধ করেন তাঁরাই নাকি প্রতিদিন অনলাইন শপিং সাইট থেকে কেনাকাটি করেন। মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, তাঁরাও অনেক সময় অনলাইন শপিংয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে যান। সময় কাটাতে বা অবসাদ দূর করতে ক্রমশই বুঁদ হয়ে যান কেনাকাটার নেশায়। একাকীত্ব কাটাতে কখনও তাঁরা পোশাক কিনে নিজে সাজেন আবার কখনও তাঁরা বাড়ি সাজানোর জিনিস কেনেন।
[আরও পড়ুন: সিগারেটে কালো ফুসফুস, দান করা অঙ্গ ফেরালেন চিকিৎসকরা]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ধাপে প্রতিদিন একবার করে অনলাইন শপিং সাইটে ক্লিক করে জিনিসপত্র দেখেন। কিন্তু দীর্ঘদিন এই অভ্যাস বজায় থাকলে একদিন তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ধার দেনা করেও কেনাকাটি করেন অনেকেই। চিকিৎসকদের পরামর্শ যাঁরা অনলাইনে বেশি কেনাকাটি করেন তাঁরা অবিলম্বে কাউন্সেলিং করান। এছাড়াও পরিবার এবং প্রিয়জনদের পাশে পেলে অনেক সময় অনলাইন শপিংয়ের নেশাও কেটে যেতে পারে তাঁদের। তাই আপনারও যদি এমন অভ্যাস তৈরি হয় তাহলে আজই সাবধান হোন। কাছের কাউকে এমন নেশায় বুঁদ হতে দেখলে তাঁকেও সাবধান করুন।
The post অনলাইন শপিংয়ের নেশায় বুঁদ? সমীক্ষা বলছে, আপনি মানসিক রোগী appeared first on Sangbad Pratidin.