সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই নিজের মতো জীবনযাপন করেছেন। চলেছেন আপন শর্তে, আপন মতে৷ প্রতিটা মুহূর্তে নিজের জীবন উপভোগ করতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। তাঁর জীবনে বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরুষ এসেছেন। বিয়ে না করেও যে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া যায়, ‘মা’ ডাক শোনা যায়, সেই স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন নারীদের। তিনি সুস্মিতা সেন। বলিউডের হার্টথ্রব। একদা বিশ্বসুন্দরী৷ তাঁর মুক্তঝরা হাসিতে ঘায়েল হয়েছেন আট থেকে আশি।
[আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই ৪২ কোটির ব্যবসা! ভাইজানের কেরিয়ারে নয়া রেকর্ড গড়ল ‘ভারত’]
নিয়মিত সিনে-পর্দায় না দেখা গেলেও জনপ্রিয়তায় কিন্তু বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি সুস্মিতা সেনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রাণবন্ত ছবি দেখে মনে হতেই পারে দুই মেয়ে ও কাশ্মীরি প্রেমিককে নিয়ে দিব্যি রয়েছেন সুস্মিতা। তবে জানেন কি এই সাহসী ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্যের আড়ালে নিজের গভীর ক্ষতটা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি? সেকথা এতদিন পরে নিজেই জনিয়েছেন। তিনি নাকি গভীর অসুখে আক্রান্ত। কী হয়েছে সুস্মিতার? অনুরাগী মহলে উৎসাহ উত্তুঙ্গে৷
সালটা ২০১৪। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘নির্বাক’ ছবিতে অভিনয় করছিলেন সুস্মিতা। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পরই প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক কী হয়েছিল বোঝা যায়নি প্রথমটায়। দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকের পরামর্শে বেশ কয়েকটা পরীক্ষা করানোর পর ধরা পড়ে, সুস্মিতার অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি কর্টিসল উৎপাদন করা বন্ধ করে দিয়েছে। ওই ঘটনার পর সুস্মিতার একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন অকেজো হয়ে যেতে থাকে। ফলে চিকিৎসকরা তাঁকে স্টেরয়েড নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা সেন বলেন, “তখন থেকেই স্টেরয়েড নির্ভর জীবন হয়ে গেল আমার। প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর হাইড্রোকর্টিসোন নিতে হয়। কারণ, আমার শরীরে ওই হরমোন আর তৈরি হয় না।” এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পরের দু’বছর মানসিক অবসাদে ভুগেছেন তিনি। চুল পড়া বেড়ে গিয়েছিল। ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল গায়ের রং। ওজন বেড়ে মোটাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য মাঝেমধ্যেই ছুটতে হত লন্ডন এবং জার্মানিতে। তবে, সব কিছু সামলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছেন সুস্মিতা সেন।
[আরও পড়ুন: ৫০-এ পা ফেলুদার, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে প্রদর্শিত হবে তথ্যচিত্র]
তথাকথিত সামাজিক অনুশাসনের বাইরে গিয়ে নিজের ইচ্ছেয় অনেক কাজই করেছেন অভিনেত্রী। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের জীবন নিয়ে কখনোই লুকোচুরি খেলেননি৷ মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুস্মিতা দত্তক নিয়েছেন তাঁর দুই মেয়ে রেনে এবং আলিশাকে। তিনি যে রেনের জন্মদাত্রী মা নন, সে কথা মেয়েকে নিজেই জানিয়েছিলেন স্পষ্টভাবে। কী করে? খেলতে খেলতে তিনি মেয়েকে বলেছিলেন, “বায়োলজিক্যাল মাদার হওয়াটা খুব বোরিং। তোর জন্ম হয়েছে হৃদয় থেকে।”
The post ‘স্টেরয়েডেই বেঁচে আছি’, কোন কঠিন অসুখে আক্রান্ত একদা বিশ্বসুন্দরী? appeared first on Sangbad Pratidin.