অর্ণব দাস, বারাসত: সোনার দোকানের কারিগর থেকে কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি! সিআইডির হাতে ধৃত অপহরণকারী বারাসতের কাউন্সিলরের কুকীর্তি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আবাস যোজনার টাকা নয়ছয় থেকে ক্ষমতা ও টাকার জোরে নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে এই মিলন সর্দারের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, সরকারি পরিষেবায় বাড়ি বাড়ি স্বচ্ছতা অভিযানের বালতি নিয়েও দুর্নীতি করেছেন! সেসব বালতি নাগরিকদের না দিয়ে নিজের বাড়িতে মজুত রেখেছেন!
নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পে বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য অন্যান্য পুরসভার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল বারাসত পুরসভা। এর জন্য ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে নীল এবং সবুজ বালতি দেওয়ার কথা। তা বিলি হয় কাউন্সিলরের মাধ্যমেই। কিন্তু মিলন সর্দার নামে পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সেই কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলরের বাড়িতেই মজুত রয়েছে সরকারি পরিষেবার এই বালতি। যদিও এনিয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ''সঠিক কী হয়েছে, তা জানি না। তবে আমার ধারণা, ওয়ার্ডে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বালতি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোই মজুত থাকতে পারে। ওই বালতিগুলো ফিরিয়ে আনা হবে।''
এদিকে, শনিবার অপহরণের অভিযোগে ধৃত ও তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কাউন্সিলরকে পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বারাসত পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। ফরোয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''আমরা ধৃত মিলন সর্দারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বারাসত পুরসভায় ওর মতো আরও কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর আছেন। সাধারণ মানুষ তাঁদের চিহ্নিত করবেন।'' যদিও ইতিমধ্যে তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।