সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় দুর্গাপুজোর পালা শেষ। বারাসতে চলছে কালীপুজো। তার পর পালা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর। নবমীর দিনটি এবার পড়েছে রবিবার। তার আগে শনিবার। সেদিনটি ছুটি থাকলে উইকএন্ড পারফেক্ট। উৎসবের আবহে অনেকেই বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সপ্তাহান্তে ছুটি অল্প। তাই এমন কোনও জায়গা বাছাই করা প্রয়োজন যেখানে কম সময়ে বেশি আনন্দ হয়।
সপ্তাহান্তের ছুটিতে বাঙালির পছন্দের ডেস্টিনেশন কাছেপিঠের দিঘা, মন্দারমণি বা পুরুলিয়া। এবার ঘুরে আসতে পারেন মোহময়ী শুশুনিয়ায়। এখানে দিন শুরু হয় বর্ষামঙ্গলের গানে, শেষ হয় জ্যোৎস্নারাতের অপার্থিব সৌন্দর্যে। একদিকে ইতিহাসের ঐতিহ্য, অন্যদিকে প্রকৃতির অপার ঐশ্বর্য, দুইয়ের সংমিশ্রণে পর্যটকদের সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানো আদর্শ ঠিকানা হয়ে উঠেছে প্রকৃতির এই স্বর্গরাজ্য।
ছবি: সংগৃহীত
কী দেখবেন –
ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে আদর্শ এই স্থান। চতুর্দিকে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের নানা নিদর্শন। যার মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তরযুগের নিদর্শনও রয়েছে।
বলা হয় রাজপুত রাজা চন্দ্র ভার্মার দূর্গ ছিল এখানে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম শিলালিপিটিও এখানেই রয়েছে।
বর্তমানের শুশুনিয়ার ভান্ডারে রয়েছে অজস্র খনিজ সম্পদ। রয়েছে শাল-পিয়াল-আমলকীর দিগন্ত বিস্তৃত শোভা।
১৫০০ ফুট শুশুনিয়া পাহাড়ের নিচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছোট ছোট প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলি।
আপনি চাইলে অলস বিকেলে বসে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে পারেন। আবার চাইলে মেতে উঠতে পারেন রক ক্লাইম্বিংয়ের নেশায়।
ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়ের গায়েই রয়েছে প্রাচীন মূর্তি। যাকে নরসিংহ দেবতা বলে পুজো করে থাকেন স্থানীয়রা।
দেখে আসতে পারেন কাছের দুই গ্রাম হাদাল আর নারায়ণপুরের টেরাকোটা মন্দির। নেতকমলা আর বিন্ধ্যজাম গ্রামে পেতে পারেন ডোকরা শিল্পীদের খোঁজ।
কাছেই শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাসের বাসভূমি। সেটি দেখে আসতে ভুলবেন না।
কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন –
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে ছাতনা রেল স্টেশনে। ছাতনা থেকে শুশুনিয়ার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। বাঁকুড়া বা দুর্গাপুর থেকে বাসে বা গাড়িতেও শুশুনিয়া পৌঁছনো যায়। কলকাতা থেকে শুশুনিয়ার দূরত্ব দুশো কিলোমিটারের একটু বেশি। গাড়িতে গেলে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন। থাকার জন্য একাধিক জায়গা রয়েছে। বিভিন্ন দামের হোটেল, রিসর্ট, লজ পেয়ে যাবেন।