সৈকত মাইতি, তমলুক: দলীয় বিক্ষোভ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri)। তাঁর কথায়, “কোন অফিস থেকে কোন কোন অফিসারকে কী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, সব আমার রেকর্ডে রয়েছে। তাই সাবধান করে দিচ্ছি। এই জেলায় এক বাচ্চা ছেলে SP এসেছেন। তিনি কী করছেন এবং কাকে ডেকে কী বলছেন, সব আমি জানি। আমি পুরনো খেলোয়াড়। এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরের কোথাও গিয়ে ডিউটি করতে হয়।”
ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll violence) ও দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি (BJP)। সোমবার তমলুকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার সাফ কথা, মিথ্যা মামলা করে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন আক্রমণের নিশানা করেন তিনি। আগামী ৯ আগস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের বর্ষপূর্তির দিনে এক লক্ষ বিজেপি কর্মী, সমর্থককে নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: মাসের শেষ দিনে Ration বিলি নয়, নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার]
ভোট পরবর্তী সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অশান্তির নানা ঘটনায় বেছে বেছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নামেই মামলা করা হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “এই জেলার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিগত দিনেও কেউ রুখতে পারেনি, আজকেও পারছে না এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার সময় দেড় বছরে সাতজন SP বদল হয়েছে। বেছে বেছে তৎকালীন সরকার এসপি পাঠিয়েছে। তাও কিচ্ছু করতে পারেনি।” জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে নাম না করেও এদিন শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন। যার নিশানা মূলত পুলিশ, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: হেলমেট আর মাস্ক পরার পুরস্কার, বর্ধমানে ফ্রি-তে পেট্রল পেলেন ৫০ বাইক আরোহী]
বিরোধী দলনেতার কথায়, “ভদ্রভাবে চলুন এবং নিরপেক্ষভাবে চলুন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টটা পড়বেন, প্রথম লাইনে আছে, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্যের সরকার থাকে আমাদের হাতেও কেন্দ্রের সরকার আছে। নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরকে সোজা করেছেন। কাশ্মীরে এখন সবুজ পতাকা ওড়ে না, উড়ছে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা। কেন্দ্রীয় সরকারকে অত দুর্বল ভাবার কারণ নেই। বিজেপিকেও দুর্বল ভাবার কারণ নেই।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুক বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক।