সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতার নিশানায় রাজ্যপাল! সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি দুই প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনকড়কে ‘মিস’ করছেন। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে সি ভি আনন্দ বোসের কী করা উচিত, তা নিয়েও কার্যত উপদেশ দিলেন শুভেন্দু। বললেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে ব্য়বস্থা নিন।” পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “সি ভি আনন্দ বোস রাজভবনকে এখনও পর্যন্ত ধনকড়ের মতো পার্টি অফিস হতে দেননি। তাই শুভেন্দুরা ছটফট করছে।” এদিকে রাজ্যের এই অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাজ্যের অশান্তিতে রাজ্য়পালের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সেই মন্তব্যে এদিনও অনড় থেকেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার কথায়, “এরকম পরিস্থিতিতে আজকের দিনে রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, জগদীপ ধনকড়ের কথা মনে করতে চাই। বর্তমান রাজ্যপালের কাছ থেকে তাঁদের মতো ভূমিকা ব্যক্তিগতভাবে আমি এখনও দেখতে পাইনি। এই মন্তব্যে আমি অনড়।” এরপরই রাজ্যপালের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আমি চাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করুন। শিবপুর-রিষড়া নিয়ে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট না চেয়ে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লিকে জানাক তিনি।” শুভেন্দুর উপদেশ, “অবিলম্বে রিষড়া ও শিবপুর থানাকে উপদ্রুত ঘোষণা করা হোক। ১ মাসের জন্য এই দু’টির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। তবেই বুঝব শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের কাছে বার্তা দেওয়ার জন্য নয়, গান্ধী-ধনকড়ের মতো এই রাজ্যপালও কিছু করে দেখাতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রবাদীদের জন্য।”
[আরও পড়ুন: নৃশংস, ডিজে’র মিউজিক বন্ধ করতে বলায় অন্তঃসত্ত্বাকে গুলি প্রতিবেশীর! নষ্ট ভ্রূণ]
শুভেন্দুকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “রাজভবনকে এতদিন পার্টি অফিস ভাবত। সি ভি আনন্দ বোস রাজভবনকে এখনও পর্যন্ত ধনকড়ের মতো পার্টি অফিস হতে দেননি। উনি এখনও ধনকড়ের মতো নির্লজ্জভাবে বিজেপির এজেন্ট হতে পারেনি। তাই শুভেন্দুরা ছটফট করছে। উপরে রাজ্যপাল, নিচে ক্রিমিনাল নিয়ে ওদের রাজনীতি।”
এদিকে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঠিক কী ঘটেছে, ক্ষয়ক্ষতি কতটা, কীভাবে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য, সবটা জানতে চেয়েছে তারা। পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকতেই জমি তৈরি করছে বিজেপি। এর পিছনে দিল্লির হাত আছে কি না দেখতে হবে! দিল্লির ভূমিকাও তদন্ত সাপেক্ষ।”