সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানাপোড়েনের পর অবশেষে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্দিষ্ট জায়গায় ঢুকতে পারলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ায় পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শংকর ঘোষ। আর সেখানে পা রেখেই সন্দেশখালিতে সভা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু। জানালেন, ১০ মার্চ, তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন সন্দেশখালিতে সভা করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, আগেই ১০ তারিখ সন্দেশখালির ২ নং ব্লকে সভা করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়েছে বাম নেতৃত্ব। সিপিএম, ডিওয়াইএফআই ছাড়াও শরিক দলগুলিও এই সভায় যোগ দিতে আগ্রহী বলে খবর।
বৃহস্পতিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষ সন্দেশখালির পথে রওনা হন। জেলিয়াখালি যাওয়ার পথে রামপুরের কাছে পুলিশ আটকায় শুভেন্দুকে। আদালতের নির্দেশমতো তাঁকে নির্দিষ্ট থানায় মুচলেকা দেখাতে বলা হয়। প্রথমে তা দেখাতে না চাইলে পুলিশ জানায়, সেক্ষেত্রে সন্দেশখালি যাওয়া যাবে না। এর পর হাই কোর্টের নির্দেশমতো মুচলেকা দেখিয়ে হালদারপাড়ায় পৌঁছে যান। তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Sree Ram) ধ্বনি। মাথায় পাগড়ি, গলায় গামছা নিয়ে শুভেন্দু ও শংকর গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি তোলেন, শুধু শাহজাহান নয়, তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গো অর্থাৎ শেখ সিরাজুদ্দিন, জিয়ারুল মোল্লা সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: সাদা জুতো পায়ে, শাহজাহান যায়! আদালতে রাজকীয় মেজাজে প্রবেশ সন্দেশখালির ‘বাদশা’র]
এদিকে, জেলিয়াখালিতে পা রেখেই দলের তরফে সন্দেশখালিতে সভার কথা ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১০ মার্চ, ব্রিগেডে তৃণমূলের (TMC) ‘জনগর্জন সভা’। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ওইদিনের সভায় প্রধান বক্তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ওই দিনটিকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন শুভেন্দু। সন্দেশখালিতে ওইদিনই সভা করবে বিজেপি। আসলে তৃণমূলের ব্রিগেডের পালটা বিরোধী দলগুলির হাতিয়ার এখন সন্দেশখালি।
দেখুন ভিডিও: