ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আইপিএসের (IPS) জন্য সংরক্ষিত পদে আইপিএস নন এমন আধিকারিদের বসানো হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। তবে তাঁর অভিযোগ ‘সর্বৈব মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে পালটা দাবি করল রাজ্য পুলিশ। শনিবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ’-এর তরফে শুভেন্দুর দাবির পালটা এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হল, রাজ্যে পুলিশ অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যাবতীয় নিয়ম পালন করা হয়েছে। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর মিথ্যা দাবির পালটা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো শাসকদল তৃণমূল (TMC)।
শনিবার বিকেলে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “২০২৪ সালের ২১ মার্চ কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে সব রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপার এবং স্পেশাল পুলিশ সুপার পদে থাকা সমস্ত নন-ক্যাডার অফিসারকে অবিলম্বে বদলি করতে হবে এবং সেই রিপোর্ট কমিশনকে দিতে হবে। কারণ পুলিশ সুপারের পদটা আইপিএস ক্যাডারদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।” এরপরই রাজ্যে এমন বেনিয়নের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে ১৬ জন পুলিশ আধিকারের নাম ও পদ-সহ একটি তালিকা তুলে ধরেন তিনি। দাবি করা হয় ওই আধিকারিকদের নিয়োগে মানা হয়নি নিয়ম।
[আরও পড়ুন: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত]
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর দাবির পালটা এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দেয় রাজ্য পুলিশ। সেখানে পুলিশের তরফে লেখা হয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে দাবি করেছেন সর্বৈব মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। একইসঙ্গে বলা হয়, রাজ্যে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়োগের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। রাজ্য পুলিশের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পালটা সরব হয় শাসকদল তৃণমূল। নির্বাচনের আগে সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, শীর্ষ পদে থেকে একজন রাজনৈতিক নেতা সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভুয়ো। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় তিনি যে পোস্ট করেছেন কমিশনের কাছে তা অবিলম্বে মুছে ফেলার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।