সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলেনি কলকাতা হাই কোর্টের থেকে অনুমতি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে পৌঁছেও বিজয়া সম্মিলনী করতে পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৯ নভেম্বর কোতুলপুরে সভা করবেন বলেই জানান তিনি। জমায়েত আরও অনেক বেশি হবে, চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতার।
কোতুলপুরে শুভেন্দুর বিজয়া সম্মিলনীর কথা ছিল বুধবার। তবে পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু আধ ঘণ্টার মধ্যে ওই সভার অনুমতি দিতে হলে পুলিশ সুপারকে ভারচুয়ালি হাজির হতে হবে বলেই জানানো হয়েছিল। তবে পরে মামলার শুনানিতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতি দিতে রাজি হননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “পুলিশ সুপার বলেছেন অনুষ্ঠানস্থল বেশ বড়। সেখানে একটিই প্রবেশ এবং বাহিরের পথ। তাই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু করার থাকবে না। তার দায় কে নেবে?”
[আরও পড়ুন: বিচ্ছেদ হতেই প্রেমিকার ছবি বিকৃত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট! গ্রেপ্তার প্রেমিক-সহ ৩]
“আপনারা পুলিশকে একটু সময় দিন। কয়েকদিন পরে কর্মসূচি করুন। পুলিশ সভার অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক আগে। তার পর সভা করবেন”, বিজেপির আইনজীবীর উদ্দেশে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শেষ মুহূর্তে এভাবে সভার অনুমতি বাতিলে কিছুটা হলেও ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইনজীবী আর্জি জানান বিচারপতিকে। পালটা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বুঝি এটা রাজনৈতিক সভা নয়। কিন্তু কোনও অঘটন ঘটলে তার দায় কে নেবে? এভাবে অনুমতি দেওয়া যায় না।” রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। রাজভবনের সামনে অবস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে কেন এই সভা করতে দেওয়া হবে না?
সভাস্থলে ভিডিও দেখিয়েও বিচারপতির কাছে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান বিজেপির আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, ওই মাঠে কমপক্ষ ২৫ হাজার লোক ধরতে পারে। জমায়েত হয়েছে মোটে ৫ হাজার। অতিথিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা নেই। এর পর আসানসোল কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাণহানির ঘটনাকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “ওখানে দুর্ঘটনা হয়েছিল। শিশুসুলভ আচরণ করবেন না। পুলিশের গ্রিন সিগনাল ছাড়া অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।” সওয়াল জবাবের পরেও সভার অনুমতি পাননি শুভেন্দু। তাই মিছিলের পরই বাঁকুড়া থেকে ফিরতে হয় তাঁকে।