বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোট পরবর্তী সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, অশান্তির খবর মিলেছে। যার জেরে ঘরছাড়া বহু দলীয় কর্মী, সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সেসব ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু তা নিয়ে যথেষ্ট জট তৈরি হয়। রাজভবন যাওয়ার পথে শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। বিষয়টি আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছয়। কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্যপালের সঙ্গে সবাইকে দেখা করার অনুমতি দিতে হবে। বিরোধী দলনেতা যেন নতুন করে রাজভবন যাওয়ার অনুমতি নেন এবং ঘরছাড়াদের সঙ্গে নিয়ে দেখা করেন। সেইমতো রবিবার অনুমতি সাপেক্ষে ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছেন শুভেন্দু। সঙ্গে থাকবেন 'অত্যাচারিত' বিজেপি কর্মীরা। শনিবার কোচবিহারে গিয়ে তা জানিয়েছেন শুভেন্দু নিজেই।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ রাজভবনের (Raj Bhawan) তরফে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন ঘরছাড়া ২০০ বিজেপি কর্মী, সমর্থক। তাঁরা সিভি আনন্দ বোসকেই সরাসরি নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চান। রাজ্যপালও চান, তাঁদের কথা শুনতে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজভবনে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন তাঁরা, এই খবর শুনে যথেষ্ট রুষ্ট হন সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। রাজ্য সরকারের প্রতি কার্যত ভর্ৎসনার সুরে তিনি জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা থেকে কাউকে আটকানো সংবিধান বিরোধী। এনিয়ে উচ্চ আদালতে (Calcutta HC) মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহারও একই বক্তব্য। তিনি নির্দেশ দেন, নতুন করে শুভেন্দু যেন ফের রাজভবনে যাওয়ার অনুমতি নেন। সেই আবেদন সাপেক্ষেই রবিবার সাক্ষাতের সময় মিলেছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: মোদি-মেলোনির ভাইরাল ভিডিও দেখে উচ্ছ্বসিত কঙ্গনা, কী লিখলেন?]
এদিকে, শনিবার নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। সেই বৈঠক এড়িয়ে এদিন সকালেই কোচবিহার (Cooch Behar) উড়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে 'আক্রান্ত' বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর মতে, বৈঠকের চেয়ে অত্যাচারিত দলীয় কর্মীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো বেশি জরুরি। আর সেখানেই তাঁকে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কর্মীরা তাঁকে সুরক্ষা বৃদ্ধি নিয়ে বলেন। তিনি আশ্বাস দেন, দলীয় কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের গোচরে আনবেন। তার আগে অবশ্য রবিবার 'ঘরছাড়া'দের নিয়ে রাজভবনে যাবেন এবং রাজ্যপালের কাছে সবটা খুলে বলবেন। তাঁর কাছেও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাবেন।