রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগান ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশে’র বিরোধিতা করে দলের মধ্যেই সমালোচিত হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দলের সংখালঘু মোর্চা তুলে দেওয়া উচিত বলে তাঁর করা মন্তব্য আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যকে দল অনুমোদন করে না বলে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই বলেছেন। এর আঁচ গিয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও।
এবার শুভেন্দুর মন্তব্যের কড়া বিরোধিতা করলেন সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি। সিদ্দিকি (Jamal Siddiqui) বলেছেন, ‘‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির আত্মা। কিন্তু শরীর থেকে যদি আত্মা বেরিয়ে যায় তাহলে শরীরের আর কাজ কি? সংখ্যালঘু মোর্চা কাজ করছে, সংখ্যালঘু মোর্চা কাজ করবে।’’ সূত্রের খবর, বুধবারই শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পর সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি চার্লস নন্দীকে ফোন করেছিলেন সিদ্দিকি। চার্লস নন্দী এদিন এ বিষয়ে বলেন, পার্টির যা অবস্থান তা রাজ্য সভাপতি বলে দিয়েছেন। এ নিয়ে আর নতুন কিছু বলার নেই।
[আরও পড়ুন: রেললাইন থেকে পুরুলিয়ার বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার, ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু?]
এদিকে, সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দেওয়া নিয়ে এবং সংখ্যালঘুদের পাশে না থাকার যে বার্তা শুভেন্দু দিয়েছেন তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি সামসুর রহমান। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন সামসুর। সব মিলিয়ে সংখ্যালঘু মন্তব্যে দলের অন্দরেই চাপে শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন: কুলতলির সাদ্দাম ‘সমাজসেবী’, আদালতে জোর সওয়াল ‘টানেল ম্যানে’র আইনজীবীর]
শুভেন্দু যখন দলের অন্দরে প্রবল চাপে তখন কৌশলী মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, "এখন শুভেন্দুর উপর একা দায় চাপাচ্ছেন বিজেপির অন্য নেতারা। নিজেরা ভালো সাজার চেষ্টা করছেন। শুভেন্দুর উপর একা দায় চাপানো কেন? শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে ওর বিরোধিতা করি। কিন্তু বিজেপির অন্য নেতাদের তুলনায় ও অনেক সক্রিয়।"