সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC scam) জড়িত কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে ইডির জেরার মুখে পড়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছেন, একটা সময় তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে বনি বিজেপি ছেড়েছেন। তা সত্ত্বেও এদিন বনি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ছাড়ার কারণেই এই জটিলতার মুখে বনি।
বৃহস্পতিবার বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে চর্চা শুরু হতেই সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, ভোটের আগে অনকে তারকাই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে বনিও একজন। তবে গত ২ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে বনির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিতে বনির যোগের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “বনি যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তবে তাকে সবটার মুখোমুখি হতেই হবে।” কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বিজেপিতে থাকলে এই ধরণের সমস্যার মুখে পড়তে হত না বনি সেনগুপ্তকে। একই সুর দেবাংশুর গলায়। তিনি টুইটে লেখেন, “বনি সেনগুপ্ত যদি বিজেপি না ছাড়তেন, উনিও শুভেন্দু অধিকারীর মত এজেন্সি থেকে ১০ হাত দূরে থাকতে পারতেন!” বনি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কালো টাকা সাদা করার একটা ভাল পথ হচ্ছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এরা সেটাই করেছে।”
[আরও পড়ুন: ভুরি ভুরি অভিযোগ, মেডিক্যাল কাউন্সিলের শুনানিতে সুতোয় ঝুলছে ৬২ চিকিৎসকের ভবিষ্যৎ]
যদিও বনি সেনগুপ্তের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর। এদিন ইডির প্রথম দফার জেরার পর বাইরে বেরিয়ে অভিনেতা বলেন, “আয়োজকদের মাধ্যমে কুন্তলের সঙ্গে আলাপ। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে আমাকে গাড়ি কিনতে সাহায্য করেছিলেন। তার বদলে আমি অনেকগুলো ইভেন্ট করে দিই। আমার গাড়ির অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছিল।” এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তিনি ইডি (ED) আধিকারিকদের জানিয়েছেন বনি সেনগুপ্ত।