রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হাওড়ার (Howrah) অশান্ত জায়গা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে এবার পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কোলাঘাটেও তাঁকে যেতে দেওয়া হল না। গাড়িতে বসেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান শুভেন্দু। অভিযোগ, তমলুকের রাধামনি মোড়ে তাঁর কনভয় আটকে দেওয়া হয়েছে, এমনকী মধ্যাহ্নভোজও করতে দেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবের কাছে অভিযোগ জানান। চিঠি পাঠান কাঁথি থানাতেও। এদিকে, শুভেন্দুর এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পালটা দাবি, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিজেপি নেতারা অশান্ত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন, অশান্তিতে আরও ইন্ধন জোগানোর জন্য।
শনিবার হাওড়ার অশান্তিপ্রবণ এলাকাগুলিতে প্রথম পরিদর্শনে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এরপর বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সেখানে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দিলেও, বাধা কাটিয়েই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন অকুস্থলে। বিকেলের দিকে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকানো হয়। অশান্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও তা উপেক্ষা সেদিকে যাওয়ার উদ্যোগ করেছেন সুকান্তবাবু, এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে আনা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখা হয়। রবিবার তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন সুকান্ত।
[আরও পড়়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি! হাসপাতালে ভরতি করা হল করোনা আক্রান্ত সোনিয়া গান্ধীকে]
আর রবিবার শুভেন্দু অধিকারী সেখানে যেতে গিয়ে একইরকমভাবে বাধার মুখে পড়েন। তমলুকের (Tomluk) রাধামণি মোড়ে তাঁর আটকায় পুলিশ। জানানো হয়, হাওড়ায় যাওয়া যাবে না। তখন শুভেন্দু পালটা প্রশ্ন করেন, এই জায়গায় তো ১৪৪ ধারা জারি নেই, তাহলে কেন তিনি কোলাঘাটে যেতে পারবেন না? তিনি এও জানান যে কোলাঘাটে তাঁর গেস্ট হাউস আছে, সেখানে মধ্যাহ্নভোজ করতে যাবেন। তা সত্বেও পুলিশ তাঁকে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ। মধ্যাহ্নভোজের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় শেষমেশ গাড়িতে বসেই চা, বিস্কুট খান শুভেন্দু অধিকারী। গাড়িতে বসে তিনি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেও কথা বলেন।
[আরও পড়়ুন: পানিহাটির দই-চিঁড়ের মেলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রচণ্ড গরমে মৃত ৩]
প্রায় ২ ঘণ্টা পর শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ছাড়া হয় বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। এ নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ বলেন, ”১৪৪ ধারা জারি রয়েছে অশান্ত এলাকায়। সেখানে কেন বারবার যেতে চাইছেন বিজেপি নেতারা? এতেই তো বোঝা যাচ্ছে তাঁরা অশান্তিতে ইন্ধন জোগাতেই যাচ্ছেন সেখানে।”