বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: তৃণমূল (TMC) জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর অমিত শাহকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ফোন করেছিলেন বলে বিস্ফোরক দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলে দেন, ‘ফোনালাপ’ প্রমাণ করতে পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন। এ নিয়ে শুভেন্দুকে চিঠিও ধরায় ঘাসফুল শিবির। এবার জবাবি চিঠি দিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিলেন শুভেন্দু।
গত মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, “দল সর্বভারতীয় তকমা হারাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চারবার ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে। জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহজি (Amit Shah) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে নিয়ম মেনেই করেছে।” মমতার দাবি, শুভেন্দুর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর পরই মিথ্যে অভিযোগ তোলার কারণে শুভেন্দুকে আইনি নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূলের তরফে। বিরোধী দলনেতার তরফে সেই চিঠিরই জবাব দিলেন তাঁর আইনজীবী। যেখানে বলা হয়, ‘অল ইন্ডিয়া’ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নামের কোনও দলেরই অস্তিত্ব নেই।
[আরও পড়ুন: ‘NRC করতে দেব না, ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে’, রেড রোড থেকে হুঙ্কার মমতার]
যেহেতু জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল এখন আর জাতীয় দল নেই। তাই এই নামের তরফে কোনও চিঠি এলে তার আইনি কোনও বৈধতা নেই। ফলে এহেন চিঠির জবাব দিতেই তাঁর মক্কেল বাধ্য নন বলে দাবি করেন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, এর পর তাঁর মক্কেলের বিষয়ে অপমানজনক কোনও মন্তব্য করা হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
শুভেন্দুর আইনজীবীর তরফে এহেন চিঠির পালটা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলে দেন, “বিরোধী দলনেতার ধ্যানধারণা যে এত কম, জানা ছিল না। নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করে জাতীয় তকমা ছিনিয়ে নেওয়া মানে এই নয়, দলের নাম বদলে যায়। কোনও দল ইচ্ছে মতো নাম রাখতে পারে। এই ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে বিরোধী দলনেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করা উচিত।”