সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধু-সন্তদের সরাসরি রাজনীতি ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এর মাঝেই চর্চায় ইমামদের রাজনীতি। মঙ্গলবার সভা থেকে এ নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইছেন। সেই ধর্মগুরুকে শুভেন্দু প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যখন সংখ্যালঘুদের উপর 'অত্যাচার' করেছে, তখন মুখ খোলেননি কেন?
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গীয় ইমাম পরিষদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে 'পূর্ণ সমর্থন' দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। যদিও এই বিবৃতির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। এই ইস্যুকে এবার হাতিয়ার করেছেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন: হিরণকে ‘বাংলায় বলো’ কাকার ফ্যান দেব! দিলেন রকস্টার খেতাব]
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচার থেকে শুভেন্দুর দাবি করেন, কিছু ইমাম তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছেন। সেই প্রসঙ্গে ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রইসউদ্দিন পুরকাইতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, "এই রইসউদ্দিন পুরকাইত সাহেব একটা লিফলেট ছেড়েছেন। আমি তাঁকে বলি, একুশ সালের পরে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু কিংবা মুসলিমদের উপর যখন অত্যাচার করেছে, তখন মুখ খোলেননি কেন?" এ প্রসঙ্গে তিনি আনিস খানেপ মৃত্যু, গার্ডেনরিচের বহুতল ভাঙা, বগটুই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "একজন-দুজন সাধু নামে থাকে, কিন্তু তারা সাধু নয়। দিদি যে সত্য কথা বলেছে তার প্রমাণ রয়েছে। ওরা তো সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়ে দেবে। তাহলে ওদের নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন!"
বিতর্কের সূত্রপাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। উনি বলেছিলেন, “সব সাধু সমান হন না। এই যে কার্তিক মহারাজ যিনি বলেন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, তাঁদের আমি সাধু বলে মানি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।” এর পরই নাম করে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ইসকন মন্দিরের রাজনীতি যোগ নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। যা নিয়ে এখনও উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।