সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা তথা দেশের ঐতিহ্য, সম্মান নিয়ে বিতর্ক। আর সেই বিতর্ক নিয়ে দেরিতে হলেও সঠিক পক্ষ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই প্রথম তাঁকে দেখা গেল, শাসকদল-মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করতে। ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তকমা প্রাপ্ত শান্তিনিকেতনের নামফলকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়ে উপাচার্যকে ভুল সংশোন করার পরামর্শ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উপাচার্যের ‘ইগো’কেও আক্রমণ করলেন।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ বলেই সর্বজনবিদিত। একাধিক কাজে তিনি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেছেন। এমনকী বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) জমি বিতর্ক, অমর্ত্য সেন বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতার পথে হাঁটেন উপাচার্য। আর এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির ভূমিকাও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সমর্থন করা। কিন্তু দেশের ঐতিহ্যের বিষয়ে উপাচার্যের ‘ভুল’ মেনে নিয়ে আর সমর্থন করলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নামফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) নাম বাদ যাওয়া নিয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘এটা নিয়ে উপাচার্যের এত ইগোর কী আছে? এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়। কতগুলি বিষয়ে বাংলা ও বাঙালির আবেগ আছে, আলাদা শ্রদ্ধা আছে – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁদের সম্মান দেওয়ার বিষয়ে কোনও রকম জেদাজেদি থাকতে পারে না।’’
[আরও পড়ুন: বাম আমলেই উত্থান জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের]
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে সহমতই পোষণ করলেন বিরোধী দলনেতা। তার সাফাইও দিলেন এই বলে যে ”তৃণমূল বলেছে বলে আমি বলতে পারব না, তা তো নয়। এটা নিয়ে এত বিতর্কেরই বা কী আছে? উপাচার্য ওই ফলক বসালে তা এখনই সংশোধন করে নিক।” উল্লেখ্য, এই নামফলক নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সেখানকার আশ্রমিকরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন। রাজ্যপালও বিষয়টি জানতে পেরে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে জবাবদিহি করেছেন। সবমিলিয়ে এ নিয়ে চাপে পড়েই উপাচার্যের সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা, এমনই মনে করা হচ্ছে।