বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: মন্ত্রীর সামনে এক যুবকের গালে থাপ্পড় মারার ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়ার হরিণঘাটার নিমতলায় জনসভা ছিল তাঁর। সেখান থেকেই শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ”শুনে রাখুন, যে হাতে আজ ওই প্রতিবাদী যুবকের গালে থাপ্পড় মেরেছেন, বিজেপি (BJP) সরকার হবে আর এই ভিডিওটা হারিয়ে যাবে না। ওই দুটো হাত দিয়ে ওই ছেলেটার পা ধুইয়ে আপনাকে জল খাওয়ানো হবে।”
ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে। তৃণমূলের (TMC) তরফে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলছিল উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের নীলগঞ্জে। সেখানে স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে এই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পালটা পদ্মশিবিরের অভিযোগ, শিবির থেকে এক তৃণমূল কর্মী তাঁকে চড় মেরেছেন। কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। তাঁর দাবি, যে চড় মেরেছে, সে তৃণমূল কর্মী নয়। তা সত্ত্বেও সৌজন্য দেখিয়ে বিজেপি নেতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তবে যিনি চড় খেয়েছিলেন, তিনি পরবর্তীতে নিজেকে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলে দাবি করেন। ফলে গেরুয়া শিবিরও হাতে পায় নয়া হাতিয়ার। চড়তে থাকে রাজনীতির পারদ।
[আরও পড়ুন: ২৪-এ গুরুত্বপূর্ণ হবে আঞ্চলিক দলগুলি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন মমতা: অমর্ত্য সেন]
বিকেলে হরিণঘাটার সভায় এই নিয়েই প্রতিবাদে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হুঁশিয়ারি, ”আমরা হিসাব নেব। আমরা সব হিসাব নেব। যে হাতে আজকে ওই প্রতিবাদী যুবকের গালে থাপ্পড় মেরেছেন, বিজেপির সরকার হবে আর এই ভিডিওটা হারিয়ে যাবে না। ওই দুটো হাত দিয়েই ওই ছেলেটার পা ধুইয়ে আপনাকে জল খাওয়ানো হবে।” এদিন আরও নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা। জাকির হোসেন, আমিরুদ্দিন ববি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে বলেন, ”এদের মতো মাল ঢুকিয়ে রেখেছে। সব মাল বের করব।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহল-উত্তরবঙ্গে অভিষেকের সভা, ঘর ভাঙায় আশঙ্কায় BJP]
পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayet) নিয়ে তাঁর মত, ”২০১৩ সাল পর্যন্ত পঞ্চায়েতে ভোট হত। ওই বছরে তৃণমূল কিছুটা ভোট লুট করার চেষ্টা করেছিল। কিন্ত লুট করতে পারেনি। তার একটাই কারণ, তখনকার নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডার জন্য। তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ৪০০ কোম্পানি প্যারা মিলিটারি এনে সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে সাহায্য করেছিলেন। একশো দিনের কাজে স্বচ্ছতার দাবি করেছি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বাইক বাহিনীর দাপটে আর পুলিশ দিয়ে ভোট করা হয়েছিল।গণনাকেন্দ্র থেকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের। এইভাবে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট করেছিল।”