সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলাতেও এবার নামবদলের রাজনীতির চেষ্টা বিজেপির। ধর্মতলার আশেপাশের দুটি ঐতিহ্যপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ রাস্তার নাম বদলের দাবিকে সমর্থন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নামও বদলে ফেলার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।
ধর্মতলায় বঙ্গ কুম্ভ মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সাধু-সন্ত সমাবেশে ধর্ম ঠাকুরের পূজো চলছে। শনিবার সেই পুজো প্রাঙ্গনে যান শুভেন্দু অধিকারী। ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে বিরোধী দলনেতার কাছে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন করা, মৌলালি থেকে ধর্মতলাগামী লেনিন সরণির নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা রোড করা, চৌরঙ্গী থেকে শহিদ মিনারগামী মেয়ো রোডের নাম পরিবর্তন করে ধর্মরাজ সরণি করা এবং ধর্মতলায় নিয়মিত ধর্ম পুজোর ব্যবস্থা করা।
[আরও পড়ুন: লজ্জার রেকর্ড রোহিতের, ধোনির চেন্নাইয়ের সামনে ধরাশায়ী মুম্বই]
ধর্মপুজো উদ্যোক্তাদের সবকটি দাবিকেই সমর্থন করেন শুভেন্দু। তিনি জানান, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্ট্রেশনের নামকরণের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তবে অন্যান্য দাবিগুলো রাজ্য সরকারের বিষয়, বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় এলে সেগুলি কার্যকর হবে। শুভেন্দু বলেন,”এরাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মতো জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে লেনিন সরণির নাম ধর্মতলা রোড এবং মেয়ো রোডের নাম ধর্মরাজ সরণি করা হবে।” অর্থাৎ বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরাজ্যেও যে উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে পুরোদস্তুর নাম বদলের রাজনীতি চালু হয়ে যাবে সেটা পুরোপুরি বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি-ভাইপো খাবে, আমরা খাব না, তা হবে না’, DA মঞ্চে বিস্ফোরক সোনালি গুহ]
শুভেন্দুর এই নাম বদলের দাবিকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, “এই নামবদল বিজেপির জিনগত সমস্যা। আর শুভেন্দুর তো মানসিক সমস্যা আছেই। যা কিছু একটা বলে দিলেই হল। সব জায়গার একটা ঐতিহ্য থাকে।” কুণাল বলেন, লেনিনের সঙ্গে তৃণমূলের নীতিগত বিরোধ থাকলেও তাঁর আদর্শের প্রভাব বিশ্বজুড়ে। তাঁর আন্দোলন, তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে কোথাও লেনিন সরণি থাকলে, ধর্মের নামে সেটাকেও বদলে ফেলাটা অযৌক্তিক। কুণালের অভিযোগ,”সব কিছুকেই ওরা সংকীর্ণ ধর্মীয় মনোভাব থেকে দেখে। আর অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ও দলবদলু, সিবিআইয়ের এফআইরে নাম আছে, প্রতিষ্ঠিত চোর। বিজেপির গুডবুকে থাকতে যা খুশি বলছে। এটাই চোরের লক্ষণ।”