রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সরকারি জমি জবরদখল, হকার সমস্যা নিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকেই অ্যাকশনে পুলিশ। জেলার পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হকার ও সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ চলছে। এবার এ নিয়ে পালটা সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে শুভেন্দু নিজে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াবেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন। তাঁকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, " অমানবিক পদক্ষেপের প্রশ্ন নেই, নিরাপত্তার বিষয় মানবিকতা, দরদ কারোর থেকে শিখবেন না মমতা।'
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, "সরকারি জমি উদ্ধার কি কেবল বিধাননগর,গড়িয়াহাট,হাতিবাগানে? নাকি গোটা রাজ্যে? আমরা জানতে চাই পার্কসার্কাস, মেটিয়াব্রুজে কবে হবে?" এর পরই বিরোধী দলনেতার খোঁচা, "আশা করব, আপনি যেমন বলেন দেড় কোটি লোককে চাকরি দিয়েছেন, এই হকারদেরও পাশে থাকবেন। না হলে এই হকারদের পাশে আমরা থাকব। যেভাবে দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে,তাকে শহরাঞ্চলে হারের জ্বালা যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ বলে।" সঙ্গে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, "এর পরও এভাবে উচ্ছেদ চললে সেখানকার মানুষ, বিজেপি কর্মীদের বলব বাধা দিন। আমি যদি আগাম জানতে পারি, আমিও বুলডোজারের সামনে দাঁড়াব।"
[আরও পড়ুন: সঙ্গী গ্রেপ্তার হতেই বাংলাদেশে পালানোর ছক! STF-এর তৎপরতায় জালে মায়াপুরের ‘জঙ্গি’ হারেজ]
নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী দুটি প্রশাসনিক সভা করেন। সেখানে সরকারি আধিকারিক থেকে বিধায়ক, মন্ত্রীদেরও তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো নাম করে নিশানা করেন মন্ত্রীদের। এ নিয়ে এদিন বিজেপি নেতার কটাক্ষ, "আমরা দেখলাম সেখানে সুজিত বোস থেকে সবাই চোর। শুধু উনি এইসব করেন না! সরকারি জমি উদ্ধার হচ্ছে না, বিশেষ বিশেষ জায়গায় আগাম মিডিয়াকে জানিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি।" বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি নিয়েও সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।