কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতার (k নাগরিকদের কথা ভেবে আগেই আধার তৈরি ও তার ত্রুটি সংশোধন কেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। এবার শহরের একটি কেন্দ্রে সারা বছর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির পরিষেবাও চালু করল তারা। আগামী ২০ আগস্ট থেকে পুরভবনের লাগোয়া রক্সি সিনেমার দোতলায় এই সেন্টার দু’টি চালু হয়ে যাবে বলে শনিবার জানিয়েছেন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রক্সির দোতলায় যেখানে বার কাম রেস্তরাঁ ছিল সেখানেই এখন আধারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও তৈরি করা যাবে। সপ্তাহে ছয়দিন ওই দু’টি কার্ডই এখানে তৈরি ও সংশোধনের কাজে সাহায্য করবেন পুরকর্মীরা। মুখ্যপ্রশাসকের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মেনে শুরু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’-এ স্বাস্থ্যসাথীর আবেদন যেমন নেওয়া হচ্ছে তেমনই হবে, কিন্তু এই কেন্দ্রে সারাবছরই কার্ড তৈরি বা সংশোধনের কাজ হবে। অনেকের নামের বানান ভুল বা ঠিকানা ভুল হয়েছে, তাঁদের কার্ডও এখানে সংশোধন করা হবে।” অবশ্য প্রায় একবছর আগে থেকে পুরসভায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজ পুরভবনে শুরু হয়েছে। হগমার্কেটের চারতলায় এই কার্ডের কাজ করছেন পুরসভার কর্মীরা। আগামী ২০ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির অফিসটি কার্যত স্থানান্তরিত হয়ে আরও নতুন আকারে রক্সিতে শুরু হচ্ছে বলে পুরকর্তারা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নরখাদক হয়ে উঠতে পারে দুই শিশুপুত্র! ‘বিশ্বকে বাঁচাতে’ সন্তানদের খুন বাবার]
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা আধার কার্ড ছাড়া প্রশাসনিক কোনও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এখনও অনেকের হয় আধার কার্ড নেই, নয়তো নামের বানান বা ঠিকানা ভুল রয়েছে। কিন্তু কলকাতার নানা রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে এই কার্ড তৈরি বা সংশোধনের ব্যবস্থা থাকলেও তা অধিকাংশ নাগরিকের পক্ষে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে অনেক সময় লিংক থাকছে না বলে অভিযোগ। যদিও কোনও সেন্টার পাওয়া যায় তবে সেখানে দীর্ঘ লাইন এবং ঘন্টার পর ঘণ্টা হয়রান হতে হচ্ছে। বস্তুত এই দুর্ভোগ লাঘবে এবার ফিরহাদ শহরের সাধারণ নাগরিকদের জন্য স্থায়ী মেগা আধার পরিষেবা কেন্দ্র চালু করছেন রক্সিতে।
নথি জমা দিয়ে নতুন কার্ড তৈরি ও পুরোনোটি সংশোধন, দুইই এখানে হবে। তবে পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে যেমন নূন্যতম অর্থ জমা দিতে হয় এখানেও তাই দিতে হবে। কারণ, আধার কার্ডটি তৈরি বা সংশোধনের কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সংস্থাই। পুরসভা শুধুমাত্র শহরের সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থে রক্সির দোতলা এবং হাই স্পিড ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে দেবে। এতে করে কখনই লিংক নেই, এমন অভিযোগ শুনতে হবে না সেন্টারে আধার পরিবর্তন করতে আসা নাগরিকদের।