সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাম ছাত্র-যুবদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। শুক্রবার নিজের টুইটে লিখেছেন, “পুলিশ মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে। চাকরি চাইতে মিছিল করা যাবে না, কোনও কিছু নিয়েই প্রতিবাদ করা যাবে না। কিছু নিয়ে কথা বললেই নয় বামপন্থী, নয় ডানপন্থী? কেন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলা যায় না! রাজনৈতিক অনুমোদন ছাড়া কি কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারে না?”
[আরও পড়ুন: অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার বাড়িতে এল নতুন অতিথি, ‘বাবা-মাকে’ শুভেচ্ছা জানালেন বিক্রম]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শূন্যপদ পূরণ, সকলের জন্য খাদ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন (Nabanna) অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে আচমকা একেবারে নবান্নের সামনে চলে আসেন সিপিএম বিধায়ক তথা বাম ছাত্র নেতা ইব্রাহিম আলি। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে তাঁদের আটকায়। ইব্রাহিম-সহ ৫ জনকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। তখনও উঁচু গলায় স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। ওঠে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে। বিভিন্ন দিক থেকে নবান্নমুখী মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। প্রায় চার হাজার সদস্য নবান্নের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চান বাম ছাত্র-যুবরা। প্রথমে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাঁদের রোখার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও আন্দোলনকারীরা দমে যাননি। এরপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করলে অনেকে আহত হন, অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ কেউ। গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের এই নির্মম আচরণের প্রতিবাদে বামেদের তরফে শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেয় বামেরা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই সোচ্চার হয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্ররা।
প্রতিবাদ জানিয়েছেন তরুণ মজুমদার, পবিত্র সরকার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ওয়াসিম কাপুর, চন্দন সেন (নাট্যকার), মাসুদ আখতার, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অসিত বসু, ভদ্রা বসু, বিমল চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সীমা মুখোপাধ্যায়, ডঃ অম্বিকেশ মহাপাত্র, সুপ্রিয় দত্ত, মানসী সিনহা, ডঃ তপনজ্যোতি দাস, অধ্যাপক কুন্তল মুখোপাধ্যায়, মিশকা হালিম, অনির্বাণ মাইতি, অসীম বোস, বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, চন্দন সেন (অভিনেতা), তূর্ণা দাস, জয়রাজ ভট্টাচার্য, সৌরভ পালোধী, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, তৌফিক রিয়াজ, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, মনীষা আদক, দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য (জ্যাক), সারণ দত্তের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও।