সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্নের ফিগার পেতে মানুষ কী না কী করেন। শরীরের মেদ ঝড়াতে কখনও চলে জোর কসরত তো কখনও রোগা শরীরকে স্থূল করতে হেলথি ডায়েট মেনে চলেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন, সুন্দর-স্লিম ফিগার ছেড়ে শুধুমাত্র নিতম্বকে হৃষ্ট-পুষ্ট করতে আদা-জল খেয়ে লেগেছেন কেউ? সচরাচর সত্যিই এমনটা শোনা যায় না। কিন্তু সুইডিশ মডেল বিশেষ এক কারণে নিজের পশ্চাৎদেশকে বৃহৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[রেস্তরাঁয় জন্ম, শিশুকন্যাকে আজীবন বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা কর্তৃপক্ষের]
নাতাশা ক্রাউনের বয়স মাত্র ২৪। গোথেনবার্গের এই গ্ল্যামারাস মডেলের জীবনের একটাই উদ্দেশ্য। তাঁকে সকলে চিনবেন তাঁর আকর্ষণীয় বিশালাকার নিতম্বের জন্য। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিতম্বের অধিকারিনী হতে মরিয়া তিনি। নাতাশা বলছেন, এই শেপেই তিনি হয়ে উঠেছেন লাস্যময়ী। আর তাই তাঁর ডায়েট চার্টে রয়েছে হাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার-দাবার। সে তালিকা জানলে রীতিমতো তাক লাগবে। নাতাশা জানাচ্ছেন, তাঁর মেনুতে নিয়মিত পিজ্জা ও পাস্তা তো থাকেই। সেই সঙ্গে প্রত্যেক মাসে ৬ কেজি নিউটেলা খান তিনি। দাঁড়ান, দাঁড়ান, আরও আছে। পাতে চকোলেট না থাকলে তাঁর খাওয়াই অসম্পূর্ণ।
নিজের শখ পূরণে এতটাই বুঁদ নাতাশা যে নিতম্ব বড় করার জন্য তিনবার অস্ত্রোপচারও করে ফেলেছেন। রূপচর্চা করুন বা নাই করুন, সাধের নিতম্বের জন্য প্রতিদিন তিনটি কাজ করতে ভোলেন না নাতাশা। সকালে আয়নায় নিজের পিছনটা ভালভাবে নিরীক্ষণ করেন। আর তারপরই বলে আরও একটু বাড়াতে হবে। তারপর করেন সেই ক্যালোরি যুক্ত খাওয়া-দাওয়া। আর শরীরের বাকি অংশের জন্য করেন শরীরচর্চা। কিন্তু কেন এমন ইচ্ছা তাঁর? নাতাশা বলছেন, “নিজের শরীরকে দারুণ ভালবাসি। প্রথমবার এই নিতম্ব বাড়ানোর অস্ত্রোপচারের পরই বিষয়টা ভাল লেগে যায়। তারপর এটা নেশার মতো হয়ে যায়। মোট তিনবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্থূল স্তন ও ঠোঁটের জন্যও অপারেশন করিয়েছি। তবে নিতম্ব আরও বাড়াতে হবে।”
[রেকর্ডের নেশা! বুকের উপর রেখে এক মিনিটে ২৬টি তরমুজ কেটে চমক বৃদ্ধর]
তবে মেয়ের এই শখে একেবারেই সায় নেই অভিভাবকদের। তাঁদের ভয়, এসব অস্ত্রোপচার এবং অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া তাঁর শরীরের ক্ষতিই করবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বিশ্বে অনন্যা হয়ে ওঠাই এখন পাখির চোখ নাতাশার। বাকি সবই গৌণ।
The post বিশ্বের বৃহত্তম নিতম্বের মালকিন হতে কী করছেন এই মডেল? জানলে অবাক হবেন appeared first on Sangbad Pratidin.