সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় নির্বাচনের ঠিক আগে ফের যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন মডেল স্টেসি উইলিয়ামসের পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন মিস সুইজারল্যান্ড প্রতিযোগী ব্রিটিশ কিউল। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্কে নিজের হোটেলের স্যুইটে ব্যক্তিগত কথা বলার ছল করে তাঁকে ডেকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন ট্রাম্প!
কিউলের অভিযোগ, ঘরে ঢুকতেই ট্রাম্প লাফিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে জাপটে ধরে ঠোঁটে ও ঘাড়ে চুমু খান। তাঁর হাতশরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এর পর তাঁর পোশাক খোলার চেষ্টাও করেন ট্রাম্প। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে সিঁটিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কিউল। একটি সাক্ষাৎকারে সেই দিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে ১৯৯২ সালের মিস সুইজারল্যান্ড বিউটি পেজেন্টের প্রতিযোগী আরও বলেন, “সুইজারল্যান্ডের মানুষের কাছে আমেরিকা বিশাল একটা ব্যাপার। তার পর যখন ট্রাম্পের নাম আসে, সবাই ওয়াও বলে তাকিয়ে থাকে। ম্যানহাটনের প্লাজা হোটেলে ৫০ জন প্রতিযোগীকে একটি ইভেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রতিযোগীদের সঙ্গে আলাপ করতে আসেন ট্রাম্প। সাক্ষাতের সময় আমার নাম ভুলভাবে উচ্চারণ করেছিলেন।"
জানা গিয়েছে, দশ-পনেরো মিনিটের সেই প্রথম সাক্ষাতেই নাকি ট্রাম্প বুঝিয়ে দেন কিউলকে তাঁর পছন্দ। প্রেস লঞ্চ অনুষ্ঠানের পর এক কর্মীকে দিয়ে ট্রাম্প দেখা করতে চেয়ে কিউলকে আমন্ত্রণ পাঠান। সুইস সৌন্দর্য প্রতিযোগীর অভিযোগ, "জানতাম, বিকৃত মানুষের সামনে নিজেকে শান্ত রাখতে না পারলে খুব ভয়ানক কিছু আমার সঙ্গে হয়ে যেতে পারে। আদৌ আমি আর দেশে ফিরতে পারব কি না সেই আশঙ্কাও হচ্ছিল। আমি প্রাণপণে ট্রাম্পকে নিরস্ত করি।” এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মডেলের এই অভিযোগ জনমানসে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনুমান কূটনীতিকদের।