সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসের বিষ ছড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়! ফের একবার রক্তাক্ত হল সিডনি। শপিং মলের পর এবার ধর্মীয় স্থান। সোমবার বিকালে একটি গির্জায় হামলা চালায় এক আততায়ী। ছুরি দিয়ে আঘাত করে বিশপ-সহ বেশ কয়েকজনকে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিশপ। তদন্তে নেমে এই হামলাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।
গত শনিবার সিডনির বন্ডি শহরের একটি শপিং মলে হত্যালীলা চালায় এক উন্মত্ত যুবক। ছুরি দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি গুলিবৃষ্টিও করেছিল আততায়ী। ভয়ংকর ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৬ জন। আহত হন বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নিশানা করা হয় সিডনিরই ওয়েকেলির একটি গির্জাকে। রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার বিকালে গুড শেফার্ড গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। আচমকাই তখন ছুরি হাতে ঢুকে পড়ে এক কিশোর। সামনে যাকে পায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিশপ মার মারি ইমানুয়েল। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ছুরির আঘাতে জখম হন আরও কয়েকজন। কিন্তু হামলা চালিয়ে পালাতে পারেনি সেই কিশোর। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘এবার হামলা হলে…’, ইজরায়েলকে ‘নতুন’ অস্ত্র দেখানোর হুঁশিয়ারি ইরানের]
কিন্তু ততক্ষণে গির্জার বাইরে পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কিশোরটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান গির্জার বাইরে উপস্থিত প্রায় ৩০ জন। সকলেই চিৎকার করে বলতে থাকেন, হামলাকারীকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। বাধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মীও। তবে কোনওক্রমে জনতাকে শান্ত করে কিশোরটিকে সেখান থেকে নিয়ে যায় পুলিশ। তার পরই তদন্ত শুরু করা হয়।
মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সাউথ ওয়েলস পুলিশ। গির্জার ঘটনাটি জঙ্গি হামলা বলে ওয়েলসের পুলিশ কমিশনার কারেন ওয়েব বলেন, "আমরা এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছি যা নির্দেশ করে এই ঘটনা ধর্মীয় চরমপন্থার মনোভাব থেকেই ঘটানো হয়েছে। আমি এটিকে জঙ্গি হামলা বলে ঘোষণা করেছি। পরিকল্পনা করে আততায়ী ছুরি নিয়ে বাড়ি থেকে গির্জা পর্যন্ত গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, ওই কিশোর একাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্য কেউ এর পিছনে জড়িত নয়। ঘটনার পরবর্তী তদন্ত চলছে।" তবে পরপর এই ধরনের হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সিডনিজুড়ে।