গৌতম ব্রহ্ম: হাসপাতালে দালালচক্রের অভিযোগ উঠছে প্রতিনিয়ত। ভুরি ভুরি অর্থ খরচ হয়ে যায়, অথচ মেলে না সঠিক চিকিৎসা। এবার বিধানসভায় এর বিরুদ্ধেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দালালের খোঁজ পেলে দ্রুত জেলা পুলিশকে জানান। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে যাতে রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভায় বিরোধীদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর আগে তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের ডেঙ্গু পরিসংখ্যান। এবার দালাল চক্র নিয়ে বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, হাসপাতালে দালালরাজ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। মমতার কথায়, “দালাল চক্র পেলেই দ্রুত পুলিশকে জানান। স্বাস্থ্যদপ্তরকে বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। আমি যদি মোবাইলে মনিটরিং করতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্যদপ্তর পারবে না কেন?” এরপরই তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসার আগেই রোগীর পরিবারের কাছে টাকা চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মমতার বার্তা, আগে চিকিৎসা দিন। এরই পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাতে না ফেরানো হয়, তা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপের জন্য জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’, ভারতের কড়া বার্তার পর জবাব কাতারের]
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতালে গেলে আগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিন। অনেক হাসপাতালে আগে টাকা দিতে বলে। সবাইকে বলছি আগে চিকিৎসা দিন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দিন। যারা এটা করবেন না তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।”
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এদিন সে প্রসঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গে অনেক মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। পরিকাঠামোর উন্নতির ক্ষেত্রেও কাজ চলছে। চার-পাঁচ দিন আগে এইচডিইউ ইউনিট তৈরি হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার অনুরোধ করব। আমরাও করব।”