আফগানিস্তান: ১৪৭/৬ (নবি-৩৫*, গুলবদিন নায়েব-৩৫*)
পাকিস্তান: ১৪৮/৫ (বাবর আজম ৫১ , ফকর জামান ৩০)
পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থামানো যাচ্ছে না পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারত, নিউজিল্যান্ডকে প্রথম দু’ ম্যাচে হারানোর পরে শুক্রবার আফগানিস্তানকেও ৫ উইকেটে হারাল বাবর আজমের দল। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup) টানা তিনটি ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। এদিন জেতায় মেগা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইমরান খানের দেশ।
শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান (Afghanistan)। আগের দু’টি ম্যাচের মতোই শুরুর দিকে পাক বোলাররা দাপট দেখান। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। তার ফলে রানের গতি বাড়েনি আফগানদের। ওপেনার জাজাই খাতা না খুলে ফিরে যান। আরেক ওপেনার শাহজাদ (৮) ব্যর্থ হন। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তখন ধুঁকছে। আসগর আফগান (১০) ও গুরবাজও (১০) বড় রান পাননি। দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পরেও করিম (১৫) ও জাদরান (২২) রুখে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন। এর পরই ইনিংস গোছানোর কাজটা শুরু করেন অধিনায়ক মহম্মদ নবি ও গুলবদিন নায়েব। সপ্তম উইকেটে দু’জনে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শেষ তিন ওভারে ৪৩ রান করেন নবি ও নায়েব। এই দু’ জনের জন্যই আফগানিস্তান ১৪৭ রান করে। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি ও শাদাব খান একটি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।
[আরও পড়ুন: কাজে দিল না লিটন দাসের লড়াই, পোলার্ডদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ সফর শেষ বাংলাদেশের]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের। ভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলা মহম্মদ রিজওয়ান এদিন ফিরে যান মাত্র ৮ রান করে। অধিনায়ক বাবর আজম ও ফকর জামান শুরুর আঘাত সামলে পাকিস্তানকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেন। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। ফকর জামানের (৩০) গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নেন নবি। রশিদ খান ফেরান অভিজ্ঞ হাফিজকে (১০)। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে চাপের মুখে রুখে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলি। এদিন শোয়েব ও বাবর আজম জুটিতে ২৫ রান জোড়েন।
পাক অধিনায়ক বাবর আজম ৫১ রানের ইনিংস খেলে ঠকে যান রশিদ খানের বলে। ম্যাচ জেতার জন্য শেষ তিন ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। শোয়েব মালিককে (১৯) ফেরান নভীন উল হক। শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের জন্য জয়ের সমীকরণ রীতিমতো কঠিন ছিল। ১২ বলে দরকার ছিল ২৪ রান। আফগান পেসার করিমের ১৯ তম ওভারে চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন আসিফ আলি। এক ওভার বাকি থাকতে জয় হাসিল করে নেয় বাবর আজমের ছেলেরা। কিউয়িদের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে মোক্ষম সময়ে মারমুখী ব্যাটিং করেছিলেন আসিফ। এদিন মাত্র ৭ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আসিফ আলি। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় আফগানদের। কাজে এল না রশিদ খানদের মরিয়া লড়াই।