ভারত: ১৯৬/৫ (হার্দিক-৫০*, কোহলি-৩৭)
বাংলাদেশ: ১৪৬/৮ (শান্ত-৪০, কুলদীপ- ১৯/৩)
৫০ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি ভিত তৈরি করলেন। ঋষভ পন্থ ফসল ফলালেন। আর হার্দিক পাণ্ডিয়া জানালেন, পিকচার অভি বাকি হ্যায়! আর শনিবাসরীয় সন্ধ্যার শো স্টপার কুলদীপ যাদব। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।
বাংলার বাঘ নাকি মেন ইন ব্লু! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সেমিফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে কে এগিয়ে যাবে, সেদিকেই নজর ছিল গোটা দুনিয়ার। ফেভারিট হিসেবে অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মারাই আরও একটি ম্যাচ নিজেদের নামে করে ফেললেন। শাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে খুব একটা কসরত করতে হল না। ব্যাটে-বলে দুরন্ত দাপটের সৌজন্যে আরও একবার কুড়ি-বিশের ফরম্যাটে বিজয় ঝাণ্ডা ওড়াল ভারতই।
[আরও পড়ুন: NEET বিতর্কের মাঝেই কড়া পদক্ষেপ, NTA-এর ডিজিকে সরাল শিক্ষামন্ত্রক]
এদিন টস জিতে প্রথমে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাতে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে বিশেষ বাগে আনতে পারেননি বাংলাতদেশি বোলাররা। উলটে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দেন কোহলি। এরপর শক্ত মাটিতে দুরন্ত ৩৪ রান করে দলকে আরও খানিকটা এগিয়ে দেন পন্থ। আর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ইনিংস খেলেন পাণ্ডিয়া। চারটি বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুির করে দলকে প্রায় ২০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে অপরাজিত হিসেবে মাঠ ছাড়েন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি যে এখনও দলের শক্ত স্তম্ভ, তা আরও একবার বুঝিয়ে দেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
জবাবে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্তর ৪০ রান ছাড়া ভারতীয় পেস ও স্পিনের সামনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েন বাকিরা। একাই তিনটে উইকেট নেন কুলদীপ। অর্শদীপ ও বুমরাহ তুলে নেন দুটি করে উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের তুলনায় যে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে, তা পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলেই স্পষ্ট। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে উঠতে পারেন লিটন দাসরা, এমন আশঙ্কাই করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয়দের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া যে বর্তমানে কার্যত অসম্ভব, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন কোহলিরা। এই ম্যাচ হারায় বিশ্বকাপ থেকে একপ্রকার ছিটকেই গেল বাংলাদেশ। উলটোদিকে এবার অজিদের হারিয়ে অপরাজিতভাবেই শেষ চারে রোহিতরা যেতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।