সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামলা চালাতে পারে চিন! এই আশঙ্কায় যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান। সব সেনাকর্মীদের ছুটি বাতিল করার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও যে ছাড়বে না চিয়াং কাই-শেকের দেশ তা স্পষ্ট। ফলে ভবিষ্যতে চিনের ‘ইউক্রেন’ হয়ে ওঠতে পারে তাইওয়ান বলেই বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে লালচিন। তবে বেজিংয়ের ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান (Taiwan) সফর ঘিরে। আজ, সোমবার থেকে এশিয়া সফর শুরু করেছেন পেলোসি। মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান-সহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সফর করবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রবিবার পেলোসির দপ্তরের জারি করা বিবৃতিতে তাইওয়ানের নাম উল্লেখিত হয়নি। তবে দ্বীপরাষ্ট্রটির সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাইপেই পৌঁছবেন পেলোসি। আর এমনটা হলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না লালফৌজ বলে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
[আরও পড়ুন: খাদ্যসংকট মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ, শস্য নিয়ে ইউক্রেন থেকে রওনা দিল প্রথম জাহাজ]
পেলোসির সফর নিয়ে তৈরি উত্তেজনার মাঝেই মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ানের নৌবাহিনী। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের স্থলসেনা। শুরু হয়েছে আকাশপথে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-কে ঠেকানোর প্রস্তুতিও! এর পাশাপাশি, তাইওয়ানের সক্ষম নাগরিকদের একাংশকে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করেছে সে দেশের সেনা।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানের সঙ্গে সরকারিভাবে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই আমেরিকার। তবে দুই দেশ ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ বজায় রাখে এবং ‘আত্মরক্ষা’র জন্য তাইপেইকে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে ওয়াশিংটন। বলে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগে একটি চাঞ্চল্যকর অডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দাবি করা হয়, গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে চিন (China)। অডিওয় এনিয়ে রীতিমতো আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে চিনা কমিউনিষ্ট শাসক ও সেনা আধিকারিকদের একাংশকে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ওই অডিও ক্লিপটি বিশ্বাসযোগ্য। তাইওয়ান দখল নিয়ে আলোচনাটি রেকর্ড করেছে চিনা ফৌজ। সেখান থেকেই কোনওভাবে তা লিক হয়েছে।