সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে চলছে ভয়ংকর যুদ্ধ। দুবছর পেরিয়েও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। মারমুখী উত্তর কোরিয়াও। এর মাঝে আরও এক যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে তাইওয়ানে। দ্বীপরাষ্ট্রটির সীমান্তজুড়ে সামরিক মহড়া তীব্র করেছে চিন। বারবার সেদেশে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান ও রণতরী। গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফের একবার তাইওয়ানের সীমান্তে চোখ রাঙাল লাল ফৌজ। বায়ু প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়ল চিনা হেলিকপ্টার। যার পালটা হিসাবে সাগরে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে তাইওয়ান সরকার।
গত বছর তিনেক ধরে তাইওয়ানের জলরাশিতে সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বেজিং। চলতি মাসের শুরুতেই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। সেই বিপর্যয়ের দুদিনের মাথাতেই ফের আগ্রাসান দেখিয়েছিল লাল ফৌজ। দিন দশেকের মধ্যে আরও একবার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অনুপ্রবেশ ঘটাল চিন। এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি চিনা যুদ্ধবিমান ও ৮টি রণতরী হানা দেয় তাইওয়ান সীমান্তে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার হামলা হলে…’, ইজরায়েলকে ‘নতুন’ অস্ত্র দেখানোর হুঁশিয়ারি ইরানের]
কমিউনিস্ট দেশটির এই আগ্রাসান নিয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, 'পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ১১ টি বিমানের মধ্যে ৬টি তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। একটি দক্ষিণপশ্চিম সেক্টরে এরার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজেড) ঢুকে পড়ে। এবং একটি হেলিকপ্টার দক্ষিণ এডিআইজেডের উপর দিয়ে উরে যায়। এর পালটা হিসাবে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমও চালু করে দেওয়া হয়েছে। পিএলএ-এর গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে বেজিংয়ের তরফে এখনও কিছু জানায়নি। কিন্তু চিনের বারবার এহেন আগ্রাসানে বেজায় ক্ষিপ্ত তাইপেই। প্রসঙ্গত, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা হল পিপলস লিবারেশন আর্মি।
উল্লেখ্য, চিন ও তাইওয়ানের সংঘাত বহুদিনের। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এর আগে বহুবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চিনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী। তবে বেজিংয়ের চোখ রাঙানি ভয় ধরাচ্ছে না তাইপেইকে। লালফৌজের আগ্রাসনের পালটা দিতে নিজেদের মাটিতেই সাবমেরিন তৈরি করেছে তাইপেই। কমিউনিস্ট দেশটির হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। বড় অংকের সামরিক প্যাকেজও ঘোষণা করেছে তাইওয়ান সরকার।