সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের চিন্তা বাড়িয়ে সামরিক মহড়ার তীব্রতা বাড়াচ্ছে লালফৌজ। স্বাভাবিকভাবেই যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাইপেইর। চিনের এই চ্যালেঞ্জের মুখে এবার রেকর্ড অঙ্কের প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রস্তাব পেশ করল দ্বীপরাষ্ট্রটি।
জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা বিষয়ে তাইওয়ান (Taiwan) যে বাজেট পেশ করেছে তার পরিমাণ ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রস্তাবিত বাজেট এখন সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিপুল অর্থের বাজেট প্রসঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, “আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তাইওয়ান নিজেদের আরও শক্তিশালী করবে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষার দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও সহযোগিতা প্রয়োজন।” চিনের বিরুদ্ধে মজবুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নতিতে লেগে পড়েছে তাইওয়ান। তৈরি করা হচ্ছে সাবমেরিনও।
[আরও পড়ুন: ফের মিসাইল ছুঁড়ল কিমের সেনা, কোরিয়ার আকাশে যুদ্ধের মেঘ!]
উল্লেখ্য, চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চিন। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে দু’দেশের মধ্যে। এই সংঘাতে তাইওয়ানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। যা নিয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে জিনপিং প্রশাসন। এখন তাইওয়ানের আকাশ জুড়ে ক্রমশ ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় গিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। এই সফরের পালটা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। উদ্বেগ বাড়িয়ে কয়েকদিন আগেই দ্বীপরাষ্ট্রের সীমান্তে চিনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যার মধ্যে ১০টি বিমান তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল। লালফৌজের এই আগ্রাসানের পালটা জবাব দিতে যুদ্ধবিমান, মিসাইল সিস্টেম, রণতরী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল তাইওয়ান প্রশাসন। এবার চিনের গা জোয়ারি রুখতে নিজেদের আরও শক্তিশালী করার পথে পা বাড়াল তাইওয়ান।