সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়ম লাই। দ্বীপরাষ্ট্রটির পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন লাই। এই আবহে তাঁর আমেরিকা সফর একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না চিন। পালটা, তাইওয়ানের কাছে সেনা মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লালফৌজ।
আগামী বছর জানুয়ারিতে তাইওয়ানে নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে এই দ্বীপরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন লাই। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চিন। এহেন পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে লাইয়ের সম্পর্ক মজবুত হলে বিপাকে পড়তে পারে বেজিং। তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের এই সফর একদমই ভাল চোখে দেখছে না জিনপিং প্রশাসন। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লালফৌজ।
[আরও পড়ুন: মাথায় সেনার হাত, রাশ রাওয়ালপিণ্ডির হাতেই, মানলেন শাহবাজ]
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সীমান্তের কাছেই চিনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী দেখতে পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১০টি বিমান তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল।’লালফৌজের এই অনুপ্রবেশের পর নিরাপত্তাবাহিনী গোটা পরিস্থিতি নজরে রাখছে বলে জানিয়েছিল তাইওয়ান প্রশাসন। এছাড়াও, এই ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য যুদ্ধবিমান, মিসাইল সিস্টেম, রণতরী প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে আমেরিকার তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়েছে চিন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমান। অন্যদিক, চিনকে প্রতিহত করতে তাইওয়ান পাশে পেয়েছে আমেরিকাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ আনে আমেরিকা। তাইপেইকে দ্রুত সামরিক সাহায্য দিতেই আনা হয় এই আইন। এর ফলে চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেবে মার্কিন প্রশাসন।