সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ফলে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তাইওয়ান। কারণ, মার্কিন মসনদে বসতে চলা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেনের (Joe Biden) চিন নীতি নিয়ে সন্দিহান তাইপেই।
[আরও পড়ুন: ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ১১ জঙ্গি তাদের দেশেই আছে, অবশেষে স্বীকার করল পাকিস্তান]
আগামী দিনে আমেরিকার চিন নীতি নিয়ে তাইওয়ান যে কতটা উদ্বিগ্ন সেই কথা জানিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সেখানে তিনি লেখেন, “মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আমেরিকার সঙ্গে আমরা লাগাতার সম্পর্ক মজবুত করে যাব।” বলে রাখা ভাল, তাইওয়ানে বিপুল জনপ্রিয় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য সেটা স্বাভাবিকও। কারণ, চিনের বিরুদ্ধে বরাবর তাইপেইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকী, চিন হামলা চালালে আমেরিকাও দ্বীপরাষ্ট্রটির সমর্থনে সেনা পাঠাবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। এর ফলে হম্বিতম্বি করলেও সরাসরি তাইওয়ানে হামলা চালানোর সাহস পায়নি বেজিং। কিন্তু কিছুটা ‘নরমপন্থী’ বিডেন তাইপেইকে কতটা সমর্থন করবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার নীতি মোতাবেক বিডেনও তাইওয়ানের পাশেই দাঁড়াবেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে (Tiwan) মিসাইল দেওয়ার কোথা ঘোষণা করে আমেরিকা। ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে আগস্টের ১০ তারিখ চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান। সফরের পরে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বেজিং। ক্রমাগত তাইওয়ানকে সমর্থন ও অস্ত্র সাহায্য নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল চিন। তাঁরা অভিযোগ করেছিল, আমেরিকা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিল।